দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ফিক্স (ফাইন্যান্সিয়াল ইনফরমেশন এক্সচেঞ্জ) সার্টিফিকেশন অর্জন করলো।
এতে করে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সহজে লেনদেন করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে এই প্রতিষ্ঠানটি।
সার্টিফিকেশন অর্জন করার পূর্বে গত ১১ এবং ১৪ জুন বিভিন্ন টেস্ট পরিচালনা করা হয়। এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে এই সার্টিফিকেশন প্রদানের পূর্বে ইউজার এক্সেপটেন্স টেস্টিং এবং আরও কিছু সামঞ্জস্যপূর্ণ যাচাই-বাছাই করা হয়। এই সমস্ত টেস্টিং কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে এনবিএল সিকিউরিটিজ। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জুলাই এনবিএল সিকিউরিটিজ ডিএসইর ফিক্স সার্টিফিকেট অর্জন করে।
ভিন্ন ভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারণে সম্ভাব্য সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে এই সার্টিফিকেট অর্জন করলো এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড। ডিএসই আইটি এবং সিস্টেম টিম, এসকে অ্যাডভাইজরি এলএলসি ও টেকেট্রন ভেঞ্চার্স লিমিটেড (টিভিএল) পুরো প্রক্রিয়া চলাকালে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ও ডিএসই টিম সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সবরকম সহায়তা করেছে।
উল্লেখ্য, নিজস্ব ওএমএস (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) চালু করার ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর জন্য ডিএসই ফিক্স সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। এর মাধ্যমে ফার্মগুলো রিয়েল-টাইমে সরাসরি ডিএসই ট্রেডিং ইঞ্জিনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে, একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরাও বাসায় বসে সহজে এবং স্বাচ্ছন্দ্যদায়কভাবে লেনদেন করতে পারবে। এই সিস্টেম যথাযথভাবে ডিএসইর মার্কেট ডেটা ব্রডকাস্ট পরিচালনা করতে এবং যে কোনো ধরনের ব্যত্যয় এড়াতে সহায়ক হবে। এই সার্টিফিকেশনের মধ্যদিয়ে এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গ্রাহকরা এখন থেকে যে কোনো জায়গা থেকে লেনদেন করার সুযোগ পাবেন।
সার্টিফিকেশনের বিষয়ে এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) জোবায়েদ আল মামুন হাসান বলেন, “এই সার্টিফিকেশন অর্জনের ক্ষেত্রে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করায় ডিএসই আইটি, সিস্টেম এবং ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমরা বিশ্বাস করি, বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে হলে পুঁজিবাজারের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি খুব জরুরি। এই সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলো, এতে করে তারা দেশের যে কোনো জায়গা থেকে লেনদেন করার সুযোগ পাবেন।”
সারাদেশের নতুন বিনিয়োগকারীদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করাই এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান লক্ষ্য। সেইসঙ্গে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org