দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নির্মাণে অবদান রাখেন শিক্ষকরাই। তাই ৬০ জন ‘চেঞ্জমেকার’ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (জিআইএস)।
সম্প্রতি এক ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এইসব নতুন শিক্ষকদের বরণ করে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ রমেশ মুডগালের নেতৃত্বে নতুন শিক্ষকদের স্বাগত জানানো হয়।
‘স্কুল অফ লাইফ’ ধারণা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে গ্লেনরিচ বিভিন্ন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। এর অংশ হিসেবেই গ্লেনরিচ ‘চেঞ্জমেকার’ শিক্ষকদের নিয়োগ দিলো। এই চেঞ্জমেকাররা শিক্ষার্থীদের বিকশিত হতে সাহায্য করবে যেনো তারা ভবিষ্যতে সামাজিক সমস্যা সমাধানে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। শিক্ষকরা সামাজিক বাস্তবতায় ব্যাপক অবদান রাখার ক্ষমতা রাখেন ও তারাই জাতির ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অবদান রাখবেন।
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শুরু হয়। তারপর গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ রমেশ মুডগাল; জুনিয়র স্কুলের প্রধান কুমকুম হাবিবা জাহান ও এসটিএস ক্যাপিটাল লিমিটেডের মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান শাহারিয়া সুলতানা রিয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। এছাড়াও, ফোক ব্যান্ড এবং শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে শিক্ষকদের মাঝে কাস্টমাইজড উপহার, আইডি কার্ড, ল্যাপটপ, হ্যান্ডবুক এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রীও বিতরণ করা হয়।
একুশ শতকের শিক্ষার্থীদের জন্য অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই গ্লেনরিচ পাঠ্যক্রম বহির্ভূত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যারমধ্যে স্টেমরোবোর সহযোগিতায় রোবোটিক্স, ম্যাথবাডির সহযোগিতায় ম্যাথ ল্যাব, প্রকল্প-ভিত্তিক শিক্ষা ও পর্যাপ্ত খেলাধুলার সুবিধা এরমধ্যে অন্যতম। এই শিক্ষার্থীরা যখন স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করবে তখন বর্তমান পৃথিবী একেবারেই বদলে যাবে, প্রয়োজন পড়বে নতুন দক্ষতার। পরিবর্তিত বিশ্বে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এই চেঞ্জমেকারদের নিয়োগ দিয়েছে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org