দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুখোরোচক খাবার খেয়েও মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না! কিন্তু কীভাবে সেটি সম্ভব? সেই বিষয়টি নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।
আমরা সবাই জানি ডায়েট মানেই বাইরের খাবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা। ইচ্ছে করলেই বাইরের খাবার চেখে দেখার উপায়ও থাকে না। বরং ছিপছিপে হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে ওট্স, মুসলি, কিনোয়াতেই ভরসা রাখতে পারেন। তাতে হয়তো ওজন ঝরবে দ্রুত, তবে স্বাদের যত্ন নেওয়া কিন্তু হয় না। তবে অনেকের অজানা যে, মশলাদার সুস্বাদু খাবার খেয়েও কিন্তু রোগা হওয়া সম্ভব। মুখরোচক, সুস্বাদু খাবার কি শুধু রেস্তরাঁ ও রাস্তার পাশের দোকানগুলোতেই পাওয়া যায়? বাড়ির হেঁশেলেও তৈরি করে নেওয়া যায় মনপছন্দ কিছু বাহারি খাবার। যেগুলো একসঙ্গে স্বাদ ও স্বাস্থ্যের যত্নও নেয়। আবার ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে। জেনে নিন সেইসব খাবার সম্পর্কে।
পেপার চিকেন
চিকেন স্যুপ বা স্যান্ডউইচ খেয়ে মুখে চড়া পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছুই নয়। মাঝেমা-মধ্যে স্বাদ বদলাতে বানিয়ে নিতে পারেন পেপার চিকেন। তবে সর্ষের তেলের বদলে অলিভ অয়েল বা নারকেল দিয়ে এটি রাঁধতে পারেন। কারিপাতাও ব্যবহার করতে পারেন। খেতেও ভালো হবে, আবার ওজন বেড়ে যাওয়ারও ভয়ও থাকবে না।
রাজমা স্যুপ
আপনি রোগা হবেন অথচ ডায়েটের তালিকায় স্যুপ থাকবে না, তা কী করে হবে। তবে এই স্যুপও হয়ে উঠতে পারে সুস্বাদু, যদি একটু অন্য রকমভাবে এটি বানানো যায়। রাজমা, লাল লঙ্কা, রসুন বাটা, আদা, বেল পেপার দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন লোভনীয় এই স্যুপ। এতে করে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে ওজনও থাকবে হাতের নাগালে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org