দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে হওয়া শস্যচুক্তি থেকে সম্প্রতি সরে এলো রাশিয়া। তবে কিয়েভের এমন সিদ্ধান্তের পর এবার কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ করা জাহাজে হামলার ইঙ্গিতও দিলো মস্কো।
এদিকে শস্য রপ্তানি অব্যাহত রাখতে অস্থায়ী শিপিং রুট স্থাপনের কথা জানিয়েছে ইউক্রেন। তবে কিয়েভের এমন সিদ্ধান্তের পর এবার কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ করা জাহাজে হামলার ইঙ্গিত দিলো মস্কো।
নিজেদের শর্ত পূরণ না করায় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি থেকে সরে এলো রাশিয়া। চুক্তির মাধ্যমে কৃষ্ণসাগর দিয়ে নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে পারতো ইউক্রেনের খাদ্যশস্য। তবে গত ১৭ জুলাই ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তারপর রাশিয়া জানায় তারা আর এরসঙ্গে থাকছেন না। খবর সিএনএন এবং আল-জাজিরার।
গতকাল বুধবার (১৯ জুলাই) একটি বিবৃতি দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রাশিয়ার সম্মতি ছাড়া ইউক্রেনের শস্য নিতে কৃষ্ণসাগরে যদি কোনো জাহাজ প্রবেশ করে থাকে সেটির ওপর হামলা চালানো হবে।
এই বিষয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কৃষ্ণসাগর চুক্তি ছিন্ন ও মানবিক করিডোর বন্ধ হওয়ায়- ২০ জুলাই রাত ১২টা হতে কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের বন্দরের দিকে যাওয়া সব জাহাজকেই অস্ত্রভর্তি কার্গোবাহী হিসেবে ধরা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জাহাজে যেসব দেশের পতাকা পাওয়া যাবে; সেইসব দেশকে ইউক্রেনের পক্ষে এবং যুদ্ধে জড়িত হিসেবেই ধরা হবে।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘কৃষ্ণসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমার উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণপূর্বের কয়েকটি এলাকাকে জাহাজ চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org