আলসার থেকে হৃদরোগ পালাবে সব রোগাবালাই: কোন ফল নিয়মিত খেতে হবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপ- ক্রনিক অসুখের যেনো শেষ নেই। কোন ফলে লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ থাকার মন্ত্র? আজ সেটি জেনে নিন।

আমরা জানি ফল মাত্রেই উপকারী। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, নিয়ম করে ফল খাওয়ার কথা বলেন সবাইকে। সুস্থ থাকতে ফল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তবে কোন ফল খেলে বেশি উপকার পাবেন, তা অনেকেই বুঝতেও পারেন না। উপকারী ফলের তালিকায় কলা একেবারেই উপরের দিকে রয়েছে। যদি প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে পারেন, তাহলেও সুস্থ থাকবে শরীর। প্রতিদিন কলা খেলে কী কী উপকার পাওয়া যাবে? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।

দুর্বলতা দূর হবে

Related Post

কলা হলো কার্বোহাইড্রেটের সমৃদ্ধ একটি উৎস। চাঙ্গা থাকতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ শরীরে পর্যাপ্ত থাকাটা জরুরি। কলা কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতিও পূরণ করে। ২০১৯ সালে ‘জার্নাল অফ ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকোনলজি’তে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র তেমনটিই বলছে। কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি১২, যা শরীরকে ভিতর থেকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

অনেক সময় দেখা যায় ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডায়েটের পর্বে কলা রাখতে চান না অনেকেই। অথচ পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, সঠিকভাবে যদি ডায়েট করা যায়, তাহলে কলা খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথায় নয়। বরংচ কলা খেলে পেট ভর্তি থাকে দীর্ঘক্ষণ। যে কারণে বারেবারে খাবার খাওয়ার প্রবণতাও তখন অনেকটা কমে যায়। আর তখন ওজন বৃদ্ধিতেও রাশ টানা সম্ভব হয়।

হজমক্ষমতাও ভালো রাখে

কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। প্রতিদিন কলা খাওয়ার অন্যতম উপকারই হলো, এতে হজম ভালো হয়। ‘আমেরিকান সোসাইটি ফর নিউট্রিশন’ -এর গবেষণা জানিয়েছে, দিনে ২০-২৫ গ্রাম ফাইবার খাওয়াটা জরুরি। যে কারণে পেটের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। কলা সেই কাজটিই করে থাকে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

কলা হার্টেরও খেয়াল রাখে। কারণ হলো কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, যা হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়। শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখতে পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি একটি জিনিস। অন্যান্য ফল ও খাবারের চেয়ে কলায় পটাশিয়ামের মাত্রা
থাকে সবচেয়ে বেশি। যে কারণে সুস্থ থাকতে কলা খাওয়া দরকার।

আলসার

অনেকেই আলসারের সমস্যায় ভোগেন। আলসার থাকলে কলা খাওয়া যেতে পারে। পেটের আলসার থেকে দূরে থাকতে কলা হতে পারে অত্যন্ত উপকারী এক ফল। কলা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে শরীর আরও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on জুলাই ২৩, ২০২৩ 3:22 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এক অসাধারণ দৃশ্য: যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা দৃশ্য!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে পাকা আম খাবেন কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি পাকা আম খেলে রক্ষে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।…

% দিন আগে

আপনার স্মার্টফোন আগুনের মতো গরম হচ্ছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই গ্রীষ্মে শুধুমাত্র শরীরই নয়, গরম হচ্ছে আমাদের স্মার্টফোনটিও। ফোন…

% দিন আগে

দেশে ফিরেই মোনালিসা অভিনয়ে ফেরার কথা জানালেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় ছোট পর্দার ব্যস্ত মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোজেজা…

% দিন আগে

এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি হরিণ: আপনি কী খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই জঙ্গলের মধ্যে নদী রয়েছে। রয়েছে সার দেওয়া গাছ। চারপাশে…

% দিন আগে

পাহাড়-পর্বতের এক অসাধারণ দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে