দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ২০২৩ -এর আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে স্যামসাং বাংলাদেশ এর জনপ্রিয় দু’টি স্মার্টফোন – গ্যালাক্সি এফ১৩ ও গ্যালাক্সি এ৭৩ -এ দুর্দান্ত ছাড় নিয়ে এসেছে। ক্রেতারা এখন ২৮,৯৯৯ টাকার বদলে ২৫,৯৯৯ টাকা দিয়ে গ্যালাক্সি এফ১৩ এবং ৭৭,৪৯৯ টাকার পরিবর্তে ৬৪,৯৯৯ টাকা গ্যালাক্সি এ৭৩ কিনতে পারবেন। পরবর্তী কোনো ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ ছাড় সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ক্রেতারা।
দুর্দান্ত এই ছাড় নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ২০২৩ আয়োজন নিয়ে আমরা বেশ রোমাঞ্চিত। আমরা জানি যে, আমাদের ফ্যানরা এই আয়োজনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সেজন্য, তাদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে, আমরা আমাদের ফ্যানদের পছন্দের দু’টি ডিভাইস- গ্যালাক্সি এফ১৩ এবং গ্যালাক্সি এ৭৩ ডিভাইসে ছাড় সুবিধা নিয়ে আসতে পেরে আনন্দিত। আমাদের প্রত্যাশা, এই উদ্যোগকে আমাদের ফ্যানরা ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করবেন। আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের ফ্যানদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো।”
স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ১৩ -এ রয়েছে ৬০ হার্টজের ৬.৬ ইঞ্চির ফুল এইচডিপ্লাস ডিসপ্লে, ৬,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ১৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং। স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এক্সিনোজ ৮৫০ সাথে মালি-জি৫২ গ্রাফিকস প্রসেসর। এই ফোনটিতে রয়েছে পিডিএএফ সহ ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি লেন্সের ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা, এলইডি ফ্ল্যাশের সাথে ৫ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেন্সর এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ লেন্স। সাবলীল ক্যামেরা ইউআই এবং এটা ব্যবহারেও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক। ফিচার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে প্যানোরামা, পোর্ট্রেট, প্রো ও ফুড মোড।
অপরদিকে, গ্যালাক্সি এ৭৩ -এ রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেল লেন্স। মূল ক্যামেরা ছাড়াও, ডিভাইসটিতে রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স ও দু’টি ৫ মেগাপিক্সেলের ডেপথ এবং ম্যাক্রো সেন্সর। স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। গ্যালাক্সি এ৭৩ -তে রয়েছে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি, ২৫ ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট ও ৬.৭ ইঞ্চির ফুল এইচডিপ্লাস অ্যামোলেডপ্লাস ইনফিনিটি-ও ডিসপ্লে সাথে ১২০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট।
দুর্দান্ত এই ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে খাতের মধ্যে নেতৃস্থানীয় সফটওয়্যার সাপোর্ট। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org