দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পঞ্চমবারের মতো কোলকাতার নন্দনে ২৮ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। ৪ দিনব্যাপী হবে এই উৎসব। এবারের আয়োজনে প্রদর্শনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে ৪৫ সিনেমা। যারমধ্যে রয়েছে ৩৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য, ৫টি প্রামাণ্যচিত্র এবং ২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন যে, সিনেমা বাছাইয়ের জন্য গত ১২ জুলাই বৈঠকে বসেছিলেন তারা। সেখানে প্রাথমিকভাবেই ৪৫টি সিনেমা বাছাইয়ের সিদ্ধান্তও হয়। যারমধ্যে ৫টি প্রামাণ্যচিত্র ও দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রয়েছে।
প্রাথমিক এই তালিকায় নাম রয়েছে কোরবানির ঈদের মুক্তি পাওয়া ‘প্রিয়তমা’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘লাল শাড়ি’ এবং ‘প্রহেলিকা’। আর গত বছরে প্রেক্ষাগৃহে সাড়া ফেলা দুই সিনেমা ‘হাওয়া’ এবং ‘পরাণ’।
এছাড়াও প্রাথমিক তালিকায় আরও রাখা হয়েছে:
‘রিকশা গার্ল’, ‘জেকে ১৯৭১’, ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’, ‘রেডিও’, ‘১৯৭১ সেই সব দিন’, ‘নকশীকাঁথার জমিন’, ‘শ্যামা কাব্য’, ‘দু:সাহসী খোকা’, ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’, ‘গুণিন’, ‘বিউটি সার্কাস’, ‘পায়ের তলায় মাটি নাই’, ‘দামাল’, ‘পাপপূণ্য’, ‘সাঁতাও’, ‘মা’, ‘দেশান্তর’, ‘স্ফুলিঙ্গ’, ‘চিরঞ্জীব মুজিব’, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, ‘বিক্ষোভ’, ‘নোনা জলের কাব্য’, ‘মৃধা বনাম মৃধা’, ‘কূড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘গলুই’, ‘গণ্ডি’, ‘ন ডরাই’, ‘আলফা’, ‘পুত্র’, ‘আয়নাবাজি’, ‘দেবী’ এবং ‘গেরিলা’।
অপরদিকে প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে রয়েছে ‘হাসিনা এ ডটারস টেল’, ‘অবিনশ্বর’, ‘একটি দেশের জন্য’, ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ ও ‘কাঙ্গাল হরিনাথ’। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে রয়েছে ‘ওমর ফারুকের মা’ এবং ‘ধড়’।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org