দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করে গোড়ালির যন্ত্রণায় ভুগলে কী করবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করা, ভুল ব্যায়াম করা, নিয়মিত উঁচু হিলের জুতো পরার অভ্যাস ইত্যাদি কারণে গোড়ালিকে দুর্বল করে দিতে পারে। যে কারণে যন্ত্রণাও শুরু হয়। তাহলে কীভাবে রেহাই পাবেন?

দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করে গোড়ালির যন্ত্রণায় ভুগলে কী করবেন? 1দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করে গোড়ালির যন্ত্রণায় ভুগলে কী করবেন? 1

দেখা যায় অনেকেই ব্যায়াম করার সময় কাঁধ, মেরুদণ্ড ও বাহুর মতো অঙ্গগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দেন। অথচ গোড়ালিকে শক্তিশালী করার কথা আমাদের অনেকের মাথায় থাকেই না। গোড়ালি প্রকৃতপক্ষে একটি জটিল সন্ধি, যা সারা শরীরের ভারই বহন করে। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করা, ভুল ব্যায়াম করা, নিয়মিত উঁচু হিলের জুতো পরার অভ্যাস ইত্যাদি কারণে গোড়ালিকে দুর্বল করে দিতে পারে। এছাড়া পায়ের পাতায় প্লান্টার ফাসিয়া নামে একটি লিগামেন্টও থাকে। সেখানে টান ধরলে গোড়ালির ব্যথাও তখন বাড়ে। এই সমস্যাকে বলে প্লান্টার ফাসাইটিস। এর প্রধান উপসর্গই হলো গোড়ালিতে ব্যথা। মূলত পায়ের ওই অংশে প্রদাহ তৈরি হলেই এমন ধরনের তীব্র যন্ত্রণা হতে পারে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে গোড়ালিতে ব্যথা হয় অনেকের।

তাহলে কীভাবে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে?

Related Post

# গোড়ালির যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা ভীষণ জরুরি।

# উঁচু এবং শক্ত সোলের জুতো ব্যবহার করলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে এই ব্যথা।

# আপনাকে নিয়ম করে বিশ্রাম নিতে হবে। অনেক সময় অতিরিক্ত বেশি হাঁটাহাঁটিও প্রদাহের কারণ হয়ে থাকে।

# ব্যথার তীব্রতা কমাতে গোড়ালিতে ঠাণ্ডা-গরম সেঁক দেওয়া যায়। প্রথমে ঠাণ্ডা সেঁক দিন, তারপর মুহূর্তে গরম সেঁকও দিন।

# দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে যারা কাজ করেন তাদের একাধারে কাজ না করে প্রতি ঘণ্টায় কিছুটা বিরতি দিয়ে অর্থাৎ বসে বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবার কাজে যোগ দিতে হবে।

কোন ব্যায়াম করলে আরাম পাবেন?

# দুই পা একসঙ্গে করে ও হাত দুই পাশে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। গোড়ালির উপর শরীরের ভর দিয়ে পায়ের আঙুলগুলো মাটি থেকে তুলে নিতে হবে। সেই ভঙ্গিতে সামনের দিকে হাঁটতে হবে। দিনের যে কোনও সময় এই ব্যায়ামটি করলে চলবে।

# দুই পায়ের মাঝে সামান্য ফাঁক রেখে দেওয়ালের কাছে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনার হাত দেওয়ালে রাখুন ও তারপর আপনার পায়ের পাতার উপরে ভর দিয়ে উঠুন। আপনার শরীর সোজা রেখে ও ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। কয়েক সেকেন্ড পর স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসতে হবে। এইভাবে অন্তত ১০-১৫ বার করতে হবে। তথসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on আগস্ট ২০, ২০২৩ 4:21 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এক বিস্ময়কর প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৬ চৈত্র ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদের অভিমত: গরমের কোন সব্জি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে আসবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত অত্যাধিক পরিমাণে প্রোটিন খেলে, ওজন বাড়লে দেহে ইউরিক অ্যাসিডের…

% দিন আগে

নতুন ৭ সিনেমার টিভি প্রিমিয়ার চ্যানেল আইয়ে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কোনো উৎসবে বরাবরই দর্শকদের সঙ্গে আনন্দের ভাগিদার হয় চ্যানেল…

% দিন আগে

মিয়ানমারে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে: ইউএসজিএস

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে…

% দিন আগে

পর্যটকদের গাড়ি দেখে লুকিয়ে পড়লো সিংহ: দুই পশুরাজের লুকোচুরি খেলার ভিডিও ভাইরাল!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পশুরাজ সিংহের হাবভাব দেখে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না উপস্থিত পর্যটকরা।…

% দিন আগে

গরুর গাড়ি এক সময়ের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র ১৪৩১…

% দিন আগে