দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার কৃষ্ণ সাগরে তুর্কি জাহাজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের একটি বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি কৃষ্ণ সাগর দিয়ে বসফরাস প্রণালীতে যাওয়ার সময় এই জাহাজটির গতিরোধ করে রুশ হেলিপ্টার এবং যুদ্ধজাহাজ।
রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, কৃষ্ণ সাগর করিডোরে গত রবিবার এই তল্লাশির ঘটনাটি চালায় রাশিয়া। এদিকে এই কারণে রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে কি-না তা নিয়েও পশ্চিমারা নানা বিশ্লেষণ শুরু করেছে। তবে, এই বিষয়ে তুরস্কের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেইন থেকে নিরাপদে খাদ্যশস্য বের করে আনার বিষয়ে গত বছরের শেষ দিকে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে একটি চুক্তি হয়।
নানা মতবিরোধ এবং আপত্তি সত্ত্বেও ওই চুক্তির অধীনে ইউক্রেইন থেকে শস্য কৃষ্ণ সাগর হয়েই রপ্তানি হচ্ছিল।
তবে গত মাসে রাশিয়া ওই চুক্তি স্থগিত করে দিয়ে বলে যে, ইউক্রেনের বন্দরের দিকে যাওয়া যে কোনো জাহাজ তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তুও হতে পারে।
রাশিয়ার চুক্তি স্থগিতের পর কিয়েভ থেকে কৃষ্ণ সাগরকে ‘মানবিক করিডোর’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাশিয়া ওই ‘করিডোরের’ প্রতি সম্মান দেখাবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার করে কিছুই বলেনি।
এই সপ্তাহের শুরুতেই রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের পথে চলতে থাকা একটি জাহাজকে সতর্ক করতে গুলিও করেছিল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org