দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোরিয়ান ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য ‘ভি’এর পুরো নাম হলো কিম তাইহিয়ং। এ মাসেই একক গান ‘লাভ মি অ্যাগেইন’ মুক্তি পেয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই গানটি লেওভার চার্টে এক নম্বর স্থানে দখল করে নিয়েছে, যা একক শিল্পী হিসেবে এটিই তার প্রথম কৃতিত্ব।
পিঙ্কভিলার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, বিটিএসের সদস্য ‘ভি’ অর্থাৎ কিম তাইহিয়ং-এর দুটি প্রি-রিলিজ গান-‘লাভ মি অ্যাগেইন’ ও ‘রেইন ডেজ’ – মার্কিন অ্যামাজনের বেস্ট সেলারের শীর্ষ স্থান অর্জন করলো। ‘ভি’ এর গানগুলো অ্যামাজনের বেস্ট সেলিং ডিজিটাল গান ও নিউ রিলিজ ডিজিটাল গানের প্রথম দুটি স্থান দখল করে রয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে গানগুলো ইউটিউবে ৪০ মিলিয়ন ভিউ অতিক্রম করে। আর এ থেকেই ভক্তদের ভালোবাসার তীব্রভাবে প্রকাশ পায়।
অপরদিকে ইন্সটাগ্রামেও কিম তাইহিয়ুং-এর ৬১ মিলিয়ন ফলোয়ার রয়েছে। তিনিই প্রথম কোরিয়ান সেলিব্রিটি যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। ব্যক্তিগত ইন্সটাগ্রাম আইডি খোলার পর মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই সর্বাধিক ফলোয়ারসহ এক নম্বর কোরিয়ান সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছেন ভি।
উল্লেখ্য, ২০২১ এবং ২০২২ এই দুই বছরও এই কৃতিত্ব বজায় রাখেন তিনি। তার ইন্সটাগ্রাম ফিডে মাত্র দু’টি পোস্ট দিয়ে একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করে, যা এশিয়ান শিল্পী হিসেবে ২০ মিলিয়ন লাইক অতিক্রম করে। ভি-এর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটিও সম্ভবত সবচেয়ে বিখ্যাত অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে তার যে কোনো পোস্টই ১০ মিলিয়ন লাইক অতিক্রম করে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলোও, ভি’র ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটিকে হলিউড তারকাদের চেয়েও সর্বাধিক বিজ্ঞাপন মূল্য হিসেবেই মূল্যায়ন করে থাকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org