দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই মনে করেন নিরামিষ খাবারে প্রোটিন থাকে না। তাদের সেই ধারণা একেবারেই ভুল। এমন কয়েকটি নিরামিষ খাবার রয়েছে, যেগুলোতে ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন বিদ্যমান।
সুস্থ থাকতে প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি- প্রোটিনের উপকারিতাও বহু। তাইতো ওজন কমানোর তালিকায় প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখার কথা বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। আর আমিষ খাবারে প্রোটিন সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে। ডিম হলো প্রোটিনের সমৃদ্ধ একটি উৎস। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য নিয়ম করে ডিম খাওয়াটা অবশ্যই জরুরি। তবে সেইসঙ্গে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা সারা বছরই নিরামিষ খান। ভেগান জীবনধারাতেও বিশ্বাসী অনেকেই। অনেকেই মনে করেন নিরামিষ খাবারে কোনো প্রোটিন থাকে না, সেই ধারণাটিও কিন্তু ভুল। বেশ কয়েকটি নিরামিষ খাবার রয়েছে, যেগুলো প্রোটিনে ভরপুর। শুধু তাই নয়, ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন রয়েছে সেইসব খাবারে।
বাদাম
কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা, আখরোটেও প্রোটিন রয়েছে প্রচুর। ৩৫ গ্রাম কাঠবাদামে রয়েছে প্রায় ৭ গ্রাম প্রোটিন। এক কাপ আখরোট থেকে পাওয়া যায় প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন। সেইসঙ্গে, বিভিন্ন ধরনের বাদামে থাকে ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো নানা উপাদান, যেগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
সবুজ শাকসব্জি
সবুজ শাকসব্জির মধ্যে রয়েছে ব্রকোলি, পালংশাকের মতো শাকসব্জি যাতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। ১০০ গ্রাম ব্রকোলি এবং পালংশাকে প্রায় ৩.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাছাড়াও, কিছু ফলেও রয়েছে ভরপুর পরিমাণ প্রোটিন।
ডাল এবং দানাশস্য
এক কাপ ডালে প্রায় ১৬ হতে ১৮ গ্রাম প্রোটিন থাকে। সেইসঙ্গে ছোলা, রাজমাতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বিদ্যমান। তবে এই ধরনের প্রোটিন হজম করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, সব ধরনের ডালই একনাগাড়ে না খেয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়া উচিত। ডাল ছাড়া অন্যান্য শস্যের মধ্যে কিনোয়া হলো প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। এতে একইসঙ্গে প্রায় ১৮ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিডও পাওয়া যায়।
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার
আমরা সবাই জানি দুধ অত্যন্ত সুষম একটি খাবার। এক কাপ গরুর দুধে থাকে প্রায় ৩.৪ গ্রাম প্রোটিন। আবার ১০০ গ্রাম পনিরে পাওয়া যাবে প্রায় ২৩ গ্রাম প্রোটিন। যে কারণে প্রোটিনের উৎস হিসাবে দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই নিয়ম করে দুগ্ধজাত খাবার খেলে প্রোটিনের ঘাটতিও পূরণ হবে খুব সহজেই।
পনির
যারা নিরামিষ খাবার খান, তাদের কাছে পনির অত্যন্ত জনপ্রিয় এক খাবার। প্রোটিনের অন্যতম একটি উৎসই হলো এই পনির। তাই পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এক কাপ পনিরে প্রোটিনের পরিমাণ থাকে প্রায় ১২ গ্রাম। নিরামিষ তরকারিই হোক কিংবা স্যালাড, পনির ব্যবহার করা যেতেই পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ২৪, ২০২৩ 11:17 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…