দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘদিন যাবত রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছা়ড়াও মারাত্মক কোনও দুর্ঘটনায় চোট কিংবা আঘাত লাগলেও স্নায়ুর কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
সারাদিন ধরেই পরিবারের সকলের জন্য একহাতে রান্না করেছেন। রাতে শোয়ার সময় ব্যথা-যন্ত্রণার বিষয়টি বুঝতে পারছেন। মলম লাগিয়ে, হাতে গরম সেঁক দিয়ে খানিকটা আরাম পাওয়া গেলেও হাতে মোটেও জোর পাচ্ছেন না। কাচের গ্লাস ধরতে গেলেই ভয় লাগছে, হয়তো ফসকে পড়ে ভাঙতে পারে। এমনি ভেজা কাপড় নিংড়াতে গেলেও হাত অসাড় হচ্ছে- সেটি করতে পারছেন না। চাপ দিতেও পারছেন না। চিকিৎসকরা বলেছেন, হাতের কব্জির স্নায়ুতে আঘাত লাগলে এই ধরনের সমস্যা হওয়াটায় স্বাভাবিক। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বলা হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলেও আপনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়াও, মারাত্মক কোনও দুর্ঘটনায় চোট কিংবা আঘাত লাগলেও স্নায়ুর কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফিজ়িয়োথেরাপি করে সাময়িক ব্যথা কমানোর পর নিয়মিত ব্যায়াম করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে।
হাতের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না সেটি বুঝবেন কীভাবে?
# কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ হাত অবশ হয়ে যাওয়া কিংবা হাতে ঝিঁঝিঁ ধরার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। যা হাতের নির্দিষ্ট কোনও জায়গা হতে শুরু করে ক্রমশ গোটা হাতেই সেটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
# আবার অনেক সময় ঘুমের মধ্যেও হাতে পিন ফোটার মতো অনুভূতি হলে আপনাকে বুঝতে হবে তা স্নায়ুতে আঘাত পাওয়ার কারণে হলেও হতে পারে।
৩) অনেক সময দেখা যায়, হাতের মুঠোয় কোনও রকম জোরই থাকে না স্নায়ুতে আঘাত পেলে। আবার পেশিও তখন দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কারণে হাত থেকে জিনিস পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তখন বেড়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org