দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যতোদিন ক্ষমতায় রয়েছেন তাকে ব্রাজিলে গ্রেফতার করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলমান জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এই মন্তব্য করেছেন সিলভার।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর জোটের পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলন ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সে সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে দিল্লিতে জি-২০ সভার ফাঁকে নিউজ শো ফার্স্টপোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট। -খবর সংবাদ মাধ্যমের।
প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি আগামী বছর রিও ডি জেনিরোতে গ্রুপ অব ২০ সভায় যোগ দেন তবে তাকে ব্রাজিলে গ্রেফতার করা হবে না।
পুতিনকে আগামী বছরের শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, ব্রাজিলে সেই সম্মেলনের আগে রাশিয়ায় ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোর একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি পুতিন খুব সহজেই ব্রাজিলে যেতে পারবেন। আমি যদি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট থাকি ও তিনি (পুতিন) ব্রাজিলে আসেন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে না।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করার অভিযোগে এ বছরের মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। পুতিনের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগই হলো, তিনি বেআইনিভাবে ইউক্রেনের শিশুদের রাশিয়াতে সরিয়ে নিয়েছেন। আদালত বলছে যে, এই অপরাধ গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর হতেই ঘটে চলেছে। একই অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়স্থ শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলন এবং বৈঠক এড়িয়ে চলছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org