দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে কম বয়সেও অনেকের চুল পাকার সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সাদা চুল আড়াল করতে নানারকম রাসায়নিক রংও ব্যবহার করেন অনেকেই। তাতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। চুলের ধূসরতা দূর করতে বরং কয়েকটি খাবার খেতে হবে নিয়ম করে।
আমরা জানি বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরবে সেটিই স্বাভাবিক। তবে আধুনিক জীবনযাত্রায় বিভিন্ন কারণে কম বয়সেও চুল পাকার সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক চাপ, শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতি কিংবা থাইরয়েড আবার অনেক সময় বংশগত কারণেও চুল পাকতে শুরু করে। সাদা চুল নিয়ে অবসাদেও ভোগেন অনেকেই। সাদা চুল আড়াল করতে তাইতো নানারকম রাসায়নিক রং ব্যবহার করেন। তাতে হিতে বিপরীতও ঘটতে পারে। এতে চুলের ক্ষতিও হয়। এই ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধন ব্যবহার না করে বরং কয়েকটি খাবারের উপর ভরসা রাখতে পারেন। তাতে উপকার পাবেন।
কালো তিল ব্যবহার
চুল কালো রাখার জন্য কালো তিল বেশ উপকারী। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এক চামচ কালো তিল খেলে পাবেন সুফল।
বাদাম
পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বাদাম খেলেও। নিয়মিত বাদাম খাওয়ার পাশাপাশি বাদামের তেল চুলে মাখলেও বেশ উপকার পাবেন।
গাজর
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, পটাশিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন, যা চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে বেশ উপকারী। প্রতিদিন অর্ধেক গ্লাস গাজরের রস খেলে পাকা চুলের সমস্যার থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
ছোলা
ছোলায় থাকে বি১২ এবং ফলিক অ্যাসিড। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ছোলা খেলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি কালো চুলও পাওয়া যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org