দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিত্রনায়িকা পরীমনি এবার নতুন একটি ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করতে যাচ্ছেন। রায়হান রাফির পরিচালনায় এই ওয়েব ফিল্মের নাম ‘মায়া’। ইতিমধ্যেই চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি। এ মাসেই শুরু হবে এই ফিল্মের শুটিং।
এই ওয়েব ফিল্মের বিষয়ে রায়হান রাফি বলেছেন, ‘আমি যে রকম গল্প নিয়ে কাজ করতে সাধারণ পছন্দ করি, মায়া সিনেমাটিও ঠিক তেমন। পরিবার এবং সম্পর্কের গল্প। সিনেমাটি দেখার পর দর্শকরা এক মায়ায় জড়িয়ে যাবেন। এটি মূলত নারীপ্রধান গল্প। তাই চেয়েছিলাম শক্তিমান কোনো অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে কাজটি করার জন্য। গল্পটা যখন লিখছিলাম তখনই পরীর কথায় মাথায় আসে। তারপর একদিন পরীকে গল্পটা শোনালাম। তারও খুব ভালো লাগলো। এরপর থেকে গল্পের মধ্যেই থাকার চেষ্টা করেছে সে। আশা করি দর্শকদের আরও একটি ভালো সিনেমা উপহার দিতে পারবো।’
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে রায়হান রাফির ‘অক্সিজেন’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য একটি সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল পরীমণির। শেষ পর্যন্ত করা হয়নি সেই কাজটি। পরে সেই সিনেমায় অভিনয় করেন মাহিয়া মাহি। অবশেষে মায়া দিয়ে রাফির নির্দেশনায় কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন পরীমণি। তবে তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটি অবশ্য এখনও নিশ্চিত করেননি নির্মাতা।
মাতৃত্বের কারণে দীর্ঘ বিরতিতে ছিলেন পরীমণি। তবে বড়পর্দা ও ওটিটিতে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে পরীমণিকে। যেগুলোর শুটিং পূর্বেই সম্পন্ন করেছেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গ বিডিতে মুক্তি পায় পরীমণি অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘পাফ ড্যাডি’।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org