দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে বিশ্বের অন্তত ১৫০টি দেশে চালু রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল ফিচার। ফিচারটি চালুর পর অনেকের মনেই প্রশ্ন, কীভাবে নিজের চ্যানেল তৈরি করতে হবে। আজ হোয়াটসঅ্যাপে চ্যানেল খোলার নিয়ম জেনে নিন।
হোয়াটসঅ্যাপে চ্যানেল তৈরি করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। শুধুমাত্র তাই নয়, ফোনে একদম আপডেটেড হোয়াটস অ্যাপ ভার্সনে ইনস্টল রাখতে হবে। সেইসঙ্গে অ্যাকাউন্টে টু-স্টেপ ভ্যারিফিকেশন চালু রাখতে হবে যাতে করে আপনার ব্যক্তিগত কোনো তথ্য কেও না পায়। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের থেকে যে সুবিধাগুলো আপনি পাবেন :
এনহ্যান্সড ডিরেক্টরি
আপনি আপনার দেশের ও অটোমেটিক্যালি ফিল্টার করা যে কোনো চ্যানেলই খুঁজে নিতে পারবেন। এর পাশাপাশি সেই সব চ্যানেল ফলোও করতে পারবেন, যেগুলো অধিক সক্রিয় ও বেশি ফলোয়ারের ভিত্তিতে জনপ্রিয়।
রিঅ্যাকশনস
বিভিন্ন চ্যানেলের বিভিন্ন আপডেটে ইমোজি রিঅ্যাকশন করে নিজের প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারবেন।
এডিটিং
একটি চ্যানেলের অ্যাডমিন তার আপডেটের পরিবর্তন সম্পাদনাও করতে পারবেন ৩০ দিন পর্যন্ত। এরপর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সার্ভার থেকে ডিলিট হয়ে যাবে।
ফরোয়ার্ডিং
আপনি যখন কোনো আপডেট অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট কিংবা গ্রুপে পাঠাবেন, তখন সেই চ্যানেলের একটি লিঙ্ক তাতে যুক্ত থাকবে। যাতে করে ব্যবহারকারীরা সেই বিষয় এবং চ্যানেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও জানতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল তৈরি করবেন যেভাবে
# প্রথমে আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপ বিসনেজ অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর আপডেট ট্যাবে প্লাস (+) আইকনে ক্লিক করতে হবে।
# এই অপশনে ক্লিক করার পর তখন নিউ চ্যানেল অপশন দেখতে পাবেন।
# নিউ চ্যানেলে ক্লিক করে গেট স্টার্টেডে প্রবেশ করে অনস্ক্রিন ইনস্ট্রাকশনসে লেখা কিছু নির্দেশনা থাকবে সেগুলো অনুসরণ করুন।
# এরপর চ্যানেলের নাম দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org