দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত জুন মাসে জনপ্রিয় মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ সর্বপ্রথম চ্যানেল ফিচারটি সামনে নিয়ে আসে। তখন ১০টি দেশে ফিচারটি চালু করা হয়। এবার বিশ্বের ১৫০টি দেশে চালু হয়েছে এই ফিচারটি।
এই চ্যানেলে কী কী সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন সেটি জানিয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ নিজেই। ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এর পরিচয়ও করিয়েছেন তিনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, চ্যানেল ফিচারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ তার অ্যাপের অন্দরে একটি নতুন মেনু অপশনও তৈরি করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আপডেটস’।
এই আপডেট হলো হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ও চ্যানেল দুইয়েরই ঘর। সেই কারণে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল আপডেট অনেকটা পৃথক হতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হতে। চ্যানেল অ্যাডমিনদের হাতেই থাকবে বিশেষ ক্ষমতাভার- সেই চ্যানেলে কারা যোগ দিতে পারবেন ও কারা পারবেন না, সেই বিষয়টিও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে চ্যানেল অ্যাডমিনরা ফলোয়ারের ফোন নম্বর কিংবা প্রোফাইল পিক অ্যাক্সেস করতে পারবেন। আবার এর ঠিক উল্টোটাও সম্ভব হবে না।
এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল মূলত ওয়ান-ওয়ে ব্রডকাস্ট টুল, যেখানে অ্যাডমিনরা ছবি থেকে শুরু করে ভিডিও, স্টিকার্স ও পোল পোস্ট করতে পারবে। একজন ব্যবহারকারীরা যখন তিনি নির্দিষ্ট একটি চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবেন, তারা আলাদা একটি ট্যাবে সব কনটেন্টই দেখতে পাবেন। কেও কেও আবার এই সব চ্যানেলগুলোতে যোগ দিতে পারেন অন্য কারও আমন্ত্রণের ভিত্তিতেও ও হোয়াটসঅ্যাপে সেই নির্দিষ্ট চ্যানেলটি সার্চ করে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে একটা মেসেজ এক মাস কিংবা ৩০ দিনের জন্য স্থায়ী থাকে। যদিও বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের সব মেসেজগুলো অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপ্টেড নয়। শীঘ্রই চ্যানেলে আগত সব মিডিয়া এবং মেসেজের জন্য এনক্রিপশন যোগ করা হবে বলেও জানিয়েছে এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মটি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org