দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদেরকে মেচতার সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে চাইলে কয়েকটি ঘরোয়া উপকরণের উপর ভরসা রাখতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে এতে বেশ সুফল পাবেন।
ব্রণ, র্যাশ তো আছেই সেইসঙ্গে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোসর হয় মেচতা। কমবয়সে এই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে না উঠলেও ৩৫-এর পর থেকে মেচতার দাগছোপ পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকে এই সমস্যা বেশি হতে পারে। কারণ হলো শুষ্ক ত্বক মানেই আর্দ্রতাও কম। আর্দ্রতার অভাবে কালচে ছোপে ভরে যেতে পারে মুখমণ্ডল। মুখের খুঁত ঢাকতে আপনাকে তখন ভরসা করতে হয় বাইরের নানা প্রসাধনীর উপর। তবে সব সময় কালচে ছোপ ঢাকতে প্রসাধনীতে কাজে আসে না। সময়ে যত্ন না নিলে অনেক সময়ই ধীরে ধীরে এই দাগছোপ জাঁকিয়েও বসতে পারে। তবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান পেতে হলে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া উপকরণের উপর। নিয়মিত ব্যবহার করলে সুফলও পাবেন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
সাধারণ ওজন ঝরাতে অনেকেই গরম পানিতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। মুখের দাগ তোলার জন্য এই ভিনেগার বেশ কাজ করে। তবে মাথায় রাখতে হবে, অ্যাপল সিডার ভিনেগার সরাসরি মুখে মাখা যায় না। পানির সঙ্গে মিশিয়ে শুধুমাত্র ওই দাগযুক্ত জায়গায় এটি মাখতে পারেন। তবে বেশিক্ষণ ত্বকে রাখলে চলবে না। তাতে আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে। মিনিট পাঁচেকের বেশি সময় এটি রাখা যাবে না।
আলুর রস
আমরা জানি আলু শুধু স্বাদের যত্ন নেয়। আলুতে থাকা থাকা স্টার্চ, ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ত্বককে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। প্রথমে আলুর খোসা ছাড়িয়ে গ্রেট করে নিতে হবে। তারপর ছাঁকনি দিয়ে আলু থেকে রস বের করে, মুখে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। তারপর এটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
লেবু ও মধু
লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি-এর সঙ্গে মধুর মতো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান মিশলে তার গুণ অনেকখানিই বেড়ে যায়। লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে মুখের দাগযুক্ত অংশে কিছুক্ষণ মেখে রাখতে হবে। তারপর এটি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েক দিন ব্যবহার করলে ত্বকের দাগছোপ দূর হবে নিমেষেই। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org