দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নেদারল্যান্ডসের রটারডামের একটি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার এবং একটি বাড়িতে বন্দুকধারীর হামলায় এক শিক্ষকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রটারডামের ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, ৩২ বছর বয়সী ওই বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত তিনজন হলেন- ৩৯ বছর বয়সী একজন নারী, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে ও ইরাসমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ বছর বয়সী এক শিক্ষক।
প্রথমে মেডিকেল সেন্টারের কাছে একটি বাড়িতে গুলি চালায় বন্দুকধারী। এতে করে ওই বাড়িতে আগুন ধরে যায়। তারপর বন্দুকধারী মেডিকেল সেন্টারে হামলা চালায়।
এই সময় হাসপাতাল থেকে ভীতসন্ত্রস্ত চিকিৎসাকর্মীদেরকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। স্ট্রেচার এবং হুইলচেয়ারে করে রোগীদেরও বের করে আনেন ওই সন্ত্রাসী। বন্দুকধারী ইরাসমাস মেডিকেল সেন্টারেরই একজন ছাত্র।
এদিকে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, বন্দুকধারী প্রথমে চতুর্থ তলায় গুলি চালায়। এই সময় ৪ থেকে ৫টি গুলি করা হয়। তারপর একটি পেট্রোলবোমা ছোড়া হয়।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর এক ব্রিফিংয়ে রটারডাম পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই বন্দুকধারী দুই বছর পূর্বেও প্রাণী নির্যাতনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org