দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্ষা প্রায় শেষের দিকে হলেও চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। নানা রকম প্রসাধনী, নামী-দামি সংস্থার হেয়ার প্যাক ব্যবহার করেও লাভ হচ্ছে না? তবে মুশকিল আসান করতে পারে কফি। তাহলে বাড়িতে কীভাবে তৈরি করবেন এই কফি হেয়ার মাস্ক?
এই মৌসুমে কখনও ঘাম, কখনও আবার বৃষ্টিতে ভিজেও চুলের বারোটা বাজে। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় চুল আচড়াতে গেলেই একগুচ্ছ চুল হাতের মুঠোয় চলে আসে। যদিও চুল ওঠার জন্য একমাত্র আবহাওয়া দায়ী নয়, এর সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, নির্দিষ্ট কতোকগুলো ওষুধের প্রভাব, কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক ও জিনঘটিত সমস্যার কারণেও চুল উঠে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানা রকম প্রসাধনী, নামী-দামি সংস্থার হেয়ার প্যাক ব্যবহার করেও কোনো লাভ হচ্ছে না? এই সমস্যার সমাধান করতে পারে কফি। বাড়িতে কীভাবে তৈরি করবেন এই কফি হেয়ার মাস্ক? সেটি জেনে নিন।
চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে হলে
মানুষের নজর কাড়তে চুলেও চাই জেল্লা। ঝলমলে চুল পেতে কফি দিয়ে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করতেই পারেন। ২ টেবিল চামচ কফি ও ২ টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ায় প্যাকটি লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। আধা ঘণ্টা বাদে ধুয়ে শ্যাম্পুও করে নিতে পারেন। এতে করে অনেকের ভিড়েও নজর কাড়বে আপনার চুল।
চুল মসৃণ করতে
শুষ্ক চুলের সমস্যায় ভুগলে কফি দিয়েই পেতে পারেন মোলায়েম সুন্দর চুল। চুলের মাস্কটি বানাতে প্রথমেই একটি পাত্রে ৪ টেবিল চামচ কফি, আধা কাপ টক দই ও ৩ চা চামচ লেবুর রস নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাক হাত বা ব্রাশের সাহায্যে চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।
চুল প়ড়ার সমস্যা কমাতে হলে
সারাবছর ধরে চুল ঝরলেও এই মৌসুমে সমস্যা যেনো আরও বেড়ে যায়। ঘন চুল পেতে ব্যবহার করতে পারেন কফির এই মাস্ক। কফি পাউডার, লেবুর রস, দারচিনি গুঁড়ো- সবগুলো একসঙ্গে দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। এরপর শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে মেখে নিতে হবে এই প্যাকটি। এতে আপনি সুফল পেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org