দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে রেখে দেন। রান্নার পূর্বে খানিকটা সময়ও বাঁচানোর জন্যই এটি করা হয়। তবে পেঁয়াজ কুচি ফ্রিজে রাখা ঠিক নয় বলে মনে করেন অনেকেই। তবে কেনো?
পাতলা মাছের ঝোল হোক বা কষা মাংসই হোক- রান্নায় পেঁয়াজ না পড়লে স্বাদই জমে না। নিরামিষ ছাড়া প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজ কুচি একটি অপরিহার্য উপকরণ বলা যায়। এছাড়াও, আলুকাবলি, ঝালমুড়ি, পাপড়িচাট বানাতেও পেঁয়াজকুচি প্রয়োজন হয়। প্রতিদিনই দরকার হয় বলে অনেকেই পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে রেখে দেন। যে কারণে খানিকটা সময়ও বাঁচে। তবে পেঁয়াজ কুচি ফ্রিজে রাখা ঠিক নয় বলে মনে করেন অনেকেই। আসলেও কী তাই?
ফ্রিজের তাপমাত্রায় নানা ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। পেঁয়াজ কেটে রাখলে সেইসব ব্যাক্টেরিয়া পেঁয়াজেও মিশে যায়। সেই পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করা খাবার খেলে পেটের গোলমালও দেখা দিতে পারে। ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণে নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। পেঁয়াজে উপকারী পুষ্টিগুণের অভাব নেই। ফ্রিজের আবহাওয়ায় পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতেই পারে। আর তখন রান্নায় পেঁয়াজ ব্যবহার করলেও কোনও লাভ হয় না। পেঁয়াজ বলেই নয়, কোনও সব্জিও কেটে ফ্রিজে রাখবেন না। ফ্রিজে রাখতে পারবেন না বলে আগে থেকেই পেঁয়াজ কেটে রাখার কোনও সুযোগও নেই, তা কিন্তু নয়। পেঁয়াজ কুচি সংরক্ষণের আরও অনেক উপায়ও রয়েছে।
# পেঁয়াজ কেটে একেবারেই যে ফ্রিজে রাখতে পারবেন না, তা কিন্তু নয়। পেঁয়াজ কুচি করে কেটে বায়ুনিরোধী কৌটাতে ভরে রেখে দিন। তবে রান্নার কয়েক ঘণ্টা পূর্বে বের করে নিতে হবে। ফ্রিজ থেকে বের করেই রান্না করা মোটেও ঠিক নয়।
# পেঁয়াজ কুচি সতেজ রাখার আরও একটি উত্তম উপায় হলো পলিথিনে ব্যাগে ভরে রাখতে পারেন। তবে বেশিদিন এভাবে রাখা যাবে না। তাহলে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাবে। তবে পলিথিন ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন।
# সকালের ব্যস্ততায় অনেক সময় পেঁয়াজ কাটার সময়ই থাকে না। তাই রাতেই কাজ এগিয়ে রাখেন অনেকেই। সেই ক্ষেত্রে পেঁয়াজ কুচিগুলো একটি জিপলক ব্যাগে ভরে রাখতে পারেন। সেটি পরের দিন রাত পর্যন্ত সতেজ ভালো থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org