দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজায় আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল এবং স্কুল অবরোধ ও সেখানে হামলার পাশাপাশি পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সম্মিলিত শাস্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক যুদ্ধাপরাধেরই শামিল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান এই কথা বলেন।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, এই ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সংঘাত আরও জটিল হবে। পরবর্তী পরিণতির জন্য ইসরায়েলি সরকারই দায়বদ্ধ থাকবে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজই গাজা উপত্যকায় পানি সরবরাহ বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন যে, অধিকৃত অঞ্চল থেকে গাজা উপত্যকায় পানি সরবরাহের সব পাইপ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ ইরানি কূটনীতিক আবদুল্লাহিয়ান গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ও অবরোধ কঠোর করার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মুসলিম এবং আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠকেরও আহ্বান জানান।
অপরদিকে, ফোনালাপে ইসরায়েলের নৃশংস হামলার মুখে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণ এবং বেসামরিক নাগরিকদের সর্বসম্মত সমর্থনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের উচিত গাজার জনগণকে সহায়তা করা ও আহতদের নিরাপদে সেখান থেকে বের করে আনার দায়িত্ব পালন করা। তিনি আরব দেশগুলোর সঙ্গে ওআইসির জরুরি অধিবেশনের বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org