দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সহায়তাকারী ১০ ব্যক্তির ওপর গতকাল (বুধবার) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন ট্রেজারি। যারমধ্যে একজন প্রধান কমান্ডারও রয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো সুদান, তুরস্ক, আলজেরিয়া ও কাতারসহ গাজা এবং অন্যত্র অবস্থিত ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে আরোপ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে দিয়ে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ।
ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বিবৃতিতে বলেছেন যে, ‘শিশুসহ ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের নৃশংস এবং অকল্পনীয় গণহত্যার পর হামাসের অর্থদাতা ও সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে একটি নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি বেসামরিক নিহত হয়।
অপরদিকে হামাসের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করা ও প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করার পর গাজা উপত্যকায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় আরও ১২ হাজার আহত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গতকাল (বুধবার) ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানাতে তেল আবিব সফর করার সময় এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আসে।
জ্যানেট ইয়েলেন আরও যোগ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি কার্যকরভাবে সন্ত্রাসী অর্থায়ন ব্যাহত করার দীর্ঘ ইতিহাসও রয়েছে এবং আমরা হামাসের বিরুদ্ধে আমাদের হাতিয়ার ব্যবহার করতে দ্বিধা করবো না।’
তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ‘নৃশংসতা’ চালানোর জন্য হামাসকে তহবিল সংগ্রহে বাধা দিতে ‘প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে’।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ট্রেজারি বিভাগের মতে, আজ অবধি তারা ইরানের শাসন, হামাস ও হিজবুল্লাহসহ সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১ হাজার ব্যক্তি ও সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করেছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org