দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘ওয়াক ইন দ্য পার্ক’ শব্দ বন্ধটি আসলে একটি ইংরেজি উপমা বলা যায়। কোনও কিছু অতি সহজেই করে ফেলা বোঝাতে এই উপমা ব্যবহার করা হয় ইংরেজিতে। তবে ভারতের বেঙ্গালুরুর অটো চালক সেই উপমাটিকে রসিকতা করে আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করেছেন।
অটো, রিক্সা, লরি বা বাসের পিছনে অনেক সময় নানা কথা লেখা থাকে। তবে সম্প্রতি তেমনই একটি বার্তা ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেট দুনিয়ায়।
ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি অটোর পিছনের কাচের জানলায় লেখা ছিল ওই বার্তাটি। প্রেমের বিষয়ে দেওয়া ছিল বিশেষ একটি পরামর্শ। অবশ্য তাকে পরামর্শ না বলে সতর্ক বার্তাও বলা যায়।
নেট মাধ্যমে তারই একটি ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন এক নেটিজেন। তার সেই ছবিটি বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে।
সমর হলরনকার নামে এক ব্যক্তি ছবিটি পোস্ট করেছেন নেট মাধ্যমে। বিবরণে তিনি লিখেছেন যে, ‘‘বেঙ্গালুরুর অটো ড্রাইভার ও তাদের দর্শন। তবে বক্তব্যটি কিন্তু খাঁটি।’’
অটোর পিছনে লেখা রয়েছে,‘‘ভালোবাসা হলো পার্কে হাঁটার মতোই অতীব সহজ সরল একটি বিষয়…তবে সেই পার্ক হলো জুরাসিক পার্ক।’’
উল্লেখ্য, ‘ওয়াক ইন দ্য পার্ক’ শব্দ বন্ধটি প্রকৃতপক্ষে একটি ইংরেজি উপমা। কোনও কিছু অতি সহজে করে ফেলা বোঝাতেই এই উপমাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে ইংরেজিতে। তবে বেঙ্গালুরুর অটো চালক সেই উপমাটিকে রসিকতা করে আক্ষরিক অর্থে ব্যবহার করেছেন। তাতেই মজা পেয়েছেন প্রেমে সত্যি সত্যি জুরাসিক পার্কের মুখোমুখি হওয়া ভুক্তভোগীরা! তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org