দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কয়েকটি খাবার থাইরয়েডের রোগীদের জন্য মারাত্মকও হতে পারে। তাই থাইরয়েডকে বাগে আনতে হলে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন সেটি আজ জেনে নিন।
অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে উঠছেন, ওজনও বেড়ে যাচ্ছে, চুল পড়ে যাচ্ছে, মুখের জেল্লাও হারিয়ে যাচ্ছে। থাইরয়েডের সমস্যা বাড়লে এমন উপসর্গ দেখা যায় শরীরে। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে খাওয়া-দাওয়ায় কিছু নিয়ম মেনে না চললে বিপদ আরও বাড়বে। কয়েকটি খাবার থাইরয়েডের রোগীদের জন্য মারাত্মকও হতে পারে। তাই থাইরয়েডকে বাগে আনতে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন সেটি আজ জেনে নিন।
সয়াবিন
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াজাতীয় কোনও খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। তাই থাইরয়েড থাকলে সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবারগুলো অবশ্যই মেপে খেতে হবে।
বাঁধাকপি ও ফুলকপি
কপির মতো যে কোনও খাবারে থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দিতে পারে। অনেকেই ওজন ঝরাতে গিয়ে ফুলকপি, ব্রকলি এবং কেল পাতার মতো শাক-সব্জি রাখেন ডায়েটে। তবে থাইরয়েড থাকলে এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
মিষ্টি
থাইরয়েড থাকলে চিনি কিংবা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া রয়েছে এমন খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলতে হবে।
কফি
থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক কফি কিংবা ক্যাফিনজাতীয় খাবারগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। তবে একদম ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। সকালের দিকে এই জাতীয় খাবার অবশ্য খেতে পারেন। তবে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে একেবারেই খাওয়া যাবে না।
প্যাকেটজাত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার
যেসব খাবার বাজারে তৈরি প্যাকেটবন্দি তাতে বাড়তি লবণ, চিনি ও তেল থাকবেই। প্রক্রিয়াজাত খাবারেও স্বাভাবিকভাবেই লবণ থাকে। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org