দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যবহারকারীরা যাতে করে নিরাপদ অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য ‘গুগল প্লে প্রোটেক্ট’কে আরও উন্নত করলো গুগল। এই নতুন আপডেটের মাধ্যমে থার্ড পার্টি অ্যাপ স্ক্যান এবং পর্যবেক্ষণে অধিকতর শক্তিশালী হলো।
গুগল প্লে প্রোটেক্ট মূলত সম্ভাব্য ক্ষতিকারক অ্যাপগুলো ডাউনলোড করার পূর্বে বিশ্লেষণ করে। অ্যান্ড্রয়েড নিয়মিতভাবে অ্যাপগুলোকে ম্যালওয়্যারের জন্যই স্ক্যান করে। যে কোনো খারাপ অ্যাপ আনইনস্টল করার জন্য ব্যবহারকারীকে অনুরোধ করে।
সম্ভাব্য ক্ষতিকারক অ্যাপ্লিকেশন (পিএইচএ) রয়েছে কি না তা নির্ধারণ করার জন্য গুগল প্লে প্রোটেক্ট ক্লাউডভিত্তিক অ্যাপ ভেরিফিকেশন পরিষেবাগুলোও ব্যবহার করে। পিএইচএর প্রমাণের জন্য গুগল প্লে প্রোটেক্ট ডিভাইস স্ক্যানও করে। এটি ডিভাইসের সব অ্যাপ পরীক্ষা করে।
প্লে প্রোটেক্ট ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনকে ম্যালিশিয়াস কিংবা ভাইরাসযুক্ত অ্যাপ হতে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। এই ক্ষেত্রে, কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার পরই, গুগল প্লে প্রোটেক্ট প্রথমে সেটিকে স্ক্যান করবে, যেনো অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ কি-না সেটি জানিয়ে দিতে পারে ব্যবহারকারীকে।
প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন যে, এভাবে থার্ড পার্টি অ্যাপের ওপর গুগল নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এক কিংবা দুইবার শর্ত লঙ্ঘন করলে অ্যাপে অ্যাক্সেস করা যাবে না। তবে থার্ড পার্টি অ্যাপ স্ক্যান করতে পারলে গুগল অনেক ম্যালওয়্যারও বাদ দিতে পারবে। ম্যালওয়্যার বাদ দিতে পারলে অনেকটাই সুবিধা হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org