দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারত অধ্যুষিত জম্মু-কাশ্মীরের ডাল লেকে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়েছে হাউসবোট। এতে তিন বাংলাদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয়। তবে আগুন লাগার কারণ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। শনিবার (১১ নভেম্বর) ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সকালবেলা ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের কাছে একটি হাউসবোটে আগুন লাগে ও এই আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় আগুন অন্যান্য হাউসবোটগুলোকেও গ্রাস করে।
অগ্নিকাণ্ডে হ্রদের বেশ কয়েকটি হাউসবোট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এর কয়েক ঘন্টা পরে কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া সাফিনা হাউসবোটে থাকা তিন পর্যটকই বাংলাদেশি নাগরিক।
বরাবরই পর্যটকদের অন্য়তম প্রিয় ডেস্টিনেশন হলো এই ডাল লেক। বহু পর্যটকই ডাল লেকে হাউসবোটে থাকেন। হাউসবোটে আগুন লাগার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দিন আগেই কাশ্মীরের মৌশুমের প্রথম তুষারপাত হয়। আর এটি দেখেই খুশির হাওয়া বয়ে যায় পর্যটকমহলে। সেই খুশির মধ্যেই এবার ভূ-স্বর্গে ছড়ালো আতঙ্ক।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীনগরের হুমামা এলাকায় একটি তিন তলা বাড়িতেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আর তার আগে জুলাই মাসে হাউসবোটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল। সেবারও আগুন লেগেছিল শ্রীনগরের ডাল লেকে। আগস্ট মাসে রামবান জেলায় আগুন লেগে মৃত্যু ঘটে তিন জনের, আহত হন ২ জন। সেবার আগুন ধরে গিয়েছিল ছোট একটি ঝুপড়িতে। জম্মু-কাশ্মীরের গানডেরবনাল জেলায় একটি সরকারি কলেজে জুলাই মাসে আগুন লেগেছিলো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org