দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সালমান খান এবং ক্যাটরিনা কাইফের বহুল প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘টাইগার ৩’। ১২ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী ৮ হাজার ৯০০ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে বলিউডের এই সিনেমাটি।
সালমানের এই সিনেমাটি একইদিনে বাংলাদেশেও মুক্তির কথা থাকলেও মুক্তি পায়নি। কারণ হলো, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে ‘টাইগার ৩’-এর মুক্তির অনুমতি এখনও মেলেনি।
জানা যায়, সাফটা চুক্তিতে ৩১ অক্টোবর ‘টাইগার ৩’ বাংলাদেশে মুক্তির অনুমতি চেয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনও জমা দিয়েছিল জাজ মাল্টিমিডিয়া।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন, যদি মুক্তির অনুমতি পাওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশে আগামী ১৭ বা ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পেতে পারে।
স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ আহমেদ বলেছেন, ‘বলিউডের সঙ্গে একইদিনে আমাদের এখানেও ‘টাইগার ৩’ চলবে এমনটি আশায় ছিলাম। তবে সেটি আর আপাতত হচ্ছে না। একইদিনে মুক্তি দিতে পারলে জাওয়ানের মতোই দারুণ ব্যবসা করতো। তবুও আমরা আশাবাদী যতো দ্রুত বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া যাবে ততোই দর্শকরা আগ্রহ নিয়ে দেখবেন।’
জানা যায়, আমদানি রপ্তানি নীতিতে ‘টাইগার ৩’-এর বিনিময়ে ভারতে মুক্তি পায় ২০১৮ সালে রায়হান রাফী পরিচালিত সিয়াম-পূজার সিনেমা ‘পোড়ামন ২’। স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ধাঁচের ‘টাইগার ৩’ সিনেমাটি পরিচলানা করেছেন মনীশ শর্মা। এই সিনেমায় প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। আর ভিলেনের চরিত্রে দেখা যাবে ইমরান হাশমিকে। তিন ভাষা হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org