দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগামী ১ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘কবীর সিংহ’ খ্যাত পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার চলচ্চিত্র ‘অ্যানিমাল’। বছরের প্রথমের দিকে মুক্তি পেয়েছিল ছবির প্রচার ঝলক। এই ছবিতে একেবারে অন্য এক ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে। হাতে কুড়ুল, রক্তমাখা মুখ, বড় বড় চুল।
রোম্যান্টিক হিরোর খোলস ছেড়ে তিনি এবার অ্যাকশন হিরো হওয়ার পথে। সেদিক থেকে এটি রণবীরের প্রথম অ্যাকশন চলচ্চিত্র। প্রথমবারেই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বেছে নেন শাহরুখ খানকে! মুক্তির পূর্বেই একটি বিষয়ে‘জওয়ান’কে ছাপিয়ে গেছে রণবীরের ‘অ্যানিমাল’। -খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
এবারই প্রথমবারের মতো রশ্মিকা মন্দানার সঙ্গে জুটি বাঁধছেন এই অভিনেতা। স্বাভাবিকভাবে অনুরাগীদের মধ্যে উত্তেজনাও রয়েছে এই নতুন জুটিকে বড় পর্দায় দেখার জন্য। ইতিমধ্যেই ছবির ‘হুয়া ম্যায়’ এবং ‘সাতরঙ্গা’ গান দু’টি ঘুরছে সকলের মুখে মুখে। তাছাড়াও ‘কবীর সিংহ’ ছবির সাফল্য এবং সেইসঙ্গে মুভিটি নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের কারণে সন্দীপের পরবর্তী এই কাজের দিকেই তাকিয়ে আছেন অনেক দিন ধরেই।
শুধুমাত্র ভারত নয় আমেরিকাতেও মুক্তি পাচ্ছে এই ছবিটি। ‘অ্যানিমাল’ প্রথম হিন্দি ছবি, যা আমেরিকার ৮৮৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। ইতিপূর্বে ‘জওয়ান’ এবং ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর মতো ছবিগুলো সেদেশে মুক্তি পায়। যারমধ্যে ‘জওয়ান’ মুক্তি পেয়েছিল ৮৫০ টি এবং ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মুক্তি পেয়েছিল ৮১০টি প্রেক্ষাগৃহে। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে, এখানে ‘জওয়ান’কে ছাপিয়ে যাচ্ছে ‘অ্যানিমাল’।
রণবীর-রশ্মিকা ছাড়াও এই ‘অ্যানিমাল’ ছবিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনিল কাপুর, ববি দেওল, তৃপ্তি ডিমরির মতো নামিদামি বলিউড তারকারা। ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে এই ছবিটি। অপরদিকে ডিসেম্বরেই আসছে শাহরুখ খানের এ বছরের তিন নম্বর ছবি ‘ডাঙ্কি’। এবার দেখার বিষয় হলো, বক্স অফিসে ‘অ্যানিমাল’কে ‘ডাঙ্কি’ ছাপিয়ে যেতে পারে কি-না!
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org