দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর ঢাকা- ১০ আসন থেকে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও মাগুরা- ২ আসন থেকে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন এমনটি শোনা যাচ্ছে। তবে আজ কিছুক্ষণ পরই তা নির্ধারণ হবে।
গত পরশু (শুক্রবার) রাতেই আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে এমন গুঞ্জন শোনা গেছে।
মনোনয়ন বোর্ডের এই সভা মাঝে বিরতি দিয়ে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। সভা শেষে নেতাদের কাছ থেকে একাধিক ব্যক্তির মনোনয়ন প্রাপ্তির খবর জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, আজকের সভায় ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এবং পোর্টফোলিও ভালো, এমন ক্রিকেটার এবং চিত্রনায়কের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে বলেও শোনা যায়।
দলীয় সূত্রে জানা যায় যে, অনলাইনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন নায়ক ফেরদৌস। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান সশরীরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একাধিক আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এই আসনগুলো হলো- ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোবিজ অঙ্গন হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন অন্তত এক ডজন অভিনয়শিল্পী। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন নায়ক ফেরদৌস। একটা লম্বা সময় ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন।
সম্প্রতি ফেরদৌস বলেন যে, ‘দলের হাইকমান্ডের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছি।’ পছন্দের কোনো আসন রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা- ১৭, কুমিল্লা- ১ এবং যশোর (আসন উল্লেখ না করেননি) কথা উল্লেখ করেছেন। ৩টির যে কোনো একটি আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি রয়েছে। বাকিটা দল যেভাবে ভালো মনে করবে, সেভাবেই পদক্ষেপ নেবেন।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org