দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাত্র ৩০ সেকেন্ডের একটি টিজার প্রকাশ পেয়েছে। যে টিজারে দেখা যাচ্ছে, অভিনেতা অপূর্ব নৌকায় ভাসছেন উত্তাল সমুদ্রে! আর ওই টিজার দেখেই প্রশংসায় ভাসছেন অপূর্ব!
অভিনেতা অপূর্ব নৌকায় ভাসছেন উত্তাল সমুদ্রে। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে তার সংলাপ। তিনি বলছেন, ‘কিছু কিছু সম্পর্ক উত্তাল সমুদ্রের মতোই, দিকহীন। কূল নেই কিনারাও নেই। তবুও ভালোবাসার গন্তব্যে আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, তবে কখনও কখনও হয়ে যায় দেরী।’
৮ ডিসেম্বর এই টিজারটি অন্তর্জালে প্রকাশের পর থেকে সেটি পলকেই ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। ফেসবুকে বিভিন্ন নাটকের গ্রুপ ও ব্যক্তিগত দেওয়ালে শেয়ার হতে থাকে। সঙ্গে প্রশংসায় ভাসতে থাকেন অপূর্ব এবং সংশ্লিষ্টরা। বেশিরভাগ দর্শকই মনে করছেন যে, বছর শেষে অপূর্বর বড় কামব্যাক হচ্ছে এই নাটকটি। যার প্রতিচ্ছবি পাওয়া গেছে এই টিজারে।
জানা যায়, এটি মূলত সিএমভি’র ব্যানারে ‘ক্লোজআপ রোম্যান্টিক ড্রামা ফেস্টিভ্যাল’-এর ‘পথে হলো দেরী’ নাটকের একটি টিজার। চিত্রনাট্য এবং নির্মাণে ছিলেন জাকারিয়া সৌখিন। অভিনয় করেছেন- জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তটিনী, মনোজ প্রামাণিক ও সালহা খানম নাদিয়াসহ প্রমুখ।
টিজার থেকে আশাতীত প্রশংসা পেয়ে খানিকটা স্বস্তিতে রয়েছেন নায়ক অপূর্ব। তিনি বললেন, ‘দর্শকদের এমন সাড়া পেলে সব কষ্টই ভুলে যাই। মনে হয় যে, আমাদের পরিশ্রমটি কাজে লেগেছে।’
স্মৃতি কাতর এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘টিজারে যে দৃশ্যটি দেখছেন সেটি কক্সবাজার থেকে অনেক ভেতরে, টেকনাফের খুব কাছাকাছি গভীর সমুদ্রে। এখানে শুটিং করতে যাওয়ার সময় আমাদের নৌকা আটকে গিয়েছিলো বালিতে। তারপর টানা ৬ ঘণ্টা পুরো ইউনিট অপেক্ষা করতে হয়েছিলো জোয়ারের জন্য। জোয়ার আসার পর আমাদের নৌকা আবার সচল হয়েছিলো। এই শ্রম কিংবা ডেডিকেশনগুলো সার্থক হয় দর্শকদের এমন সাড়া পাওয়ার পর।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org