দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিয়া বীজ পানিতে ভেজালে তবে তার গুণাগুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সকালে খালি পেটে চিয়া বীজ ভেজানো পানি খেতে গেলে অনেকেরই গা গুলিয়ে ওঠতে পারে।
দেহের অতিরিক্ত ওজন ঝরানোর জন্য কিংবা শরীরে বিভিন্ন খনিজের জোগান দিতে বিভিন্ন রকম খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন রকম বীজ খাওয়ার পরামর্শও দেন পুষ্টিবিদরা। যারমধ্যে চিয়া বীজের ভূমিকায় বেশি। এই বীজ যেমন দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে থাকে, ঠিক তেমনি চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি খাওয়া যায়। হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন অ্যান্টাসিড না খেয়ে চিয়া বীজ খেয়ে দেখতে পারেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে, চিয়া বীজ পানিতে ভেজালে তবেই তার গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্যও ভালো। এ ছাড়াও চিয়া বীজে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট- যা শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে এইসব উপাদান।
তাহলে কোন কোন উপায়ে খাওয়া যাবে চিয়া বীজ?
চিয়া পুডিং
গরুর দুধ কিংবা যে কোনও উদ্ভিজ্জ ধরনের দুধের মধ্যে ভেজানো চিয়া বীজ, মধু কিংবা মেপ্ল সিরাপ মিশিয়ে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিতে পারে। এর পরের দিন সকালে বিভিন্ন রকম ফল, বাদাম বা বীজ মিশিয়েও খেতে পারেন।
স্মুদি কিংবা ফলের রস
ফলের রস কিংবা স্মুদির পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যেতে পারে চিয়া বীজ মেশালে। চিয়ার মধ্যে থাকা ফাইবার ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের জোগানও দেয়। পৃথক করে খেতে ভালো না লাগলে এই বিকল্প উপায়ে খাওয়া যেতে পারে।
বেকিং
বাড়িতে তৈরি কেক, পাউরুটির মধ্যেও ব্যবহার করতে পারেন চিয়া বীজ। যারা ‘এগলেস’ কেক খান, তারা ওই কেকের মিশ্রণে ডিমের বদলে পানিতে ভিজিয়ে রাখা চিয়া বীজ ব্যবহার করতে পারেন।
স্যালাড
এই চিয়া বীজ মৌসুমি নানা ধরনের ফলের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে পারেন। দেখতেও ভালো লাগবে, আবার খেতেও একেবারে মন্দ লাগবে না।
সকালের নাস্তায়
যারা সকালবেলায় উঠে নাস্তায় দুধ-কর্নফ্লেক্স বা দুধ-ওট্স খেয়ে থাকেন। তারা এই খাবারের সঙ্গে ভেজানো চিয়া বীজ মিশিয়ে দিতে পারেন, এতেও উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org