দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দক্ষ জনশক্তি ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুরে ইউসেপ বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চল “স্মার্ট জব ফেয়ার ২০২৩” আয়োজন করে।
উক্ত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউসেপ বাংলাদেশ এর সম্মানিত নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক মুখ্য সচিব ড. মোঃ আবদুল করিম।
স্মার্ট জব ফেয়ার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, এনডিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, bdjobs.com এর সিইও এ কে এম ফাহিম মাসরুর, বিকেএমই এর এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট মোঃ হাতেম, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. উবায়দুর রব (সদস্য ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নর)। অনুষ্ঠানে ইউসেপ বোর্ড এর সম্মানিত সদস্য, সরকারি অর্থে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর পরিচালকবৃন্দ নিয়োগ কর্তাবৃন্দ ও সংবাদকর্মীসহ শত শত চাকুরীপ্রত্যাশী যুবা উপস্থিত হয়।
ইউসেপ নির্বাহী পরিচালক ও অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়, স্মার্ট জব ফেয়ার উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্টল পরিদর্শন শেষে অতিথিরা আলোচনায় অংশ নেন। উক্ত স্মার্ট জব ফেয়ারে উপস্থিত নিয়োগকর্তাগণ ওয়াক ইন ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চাকরি প্রত্যাশী যুবকদের তাৎক্ষণিক নিয়োগ পত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রধান অতিথি নিয়োগ পত্র হস্তান্তর করেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একশ চাকুরী প্রত্যাশী প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউসেপ বাংলাদেশ এর সম্মানিত নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আবদুল করিম। আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গড়ার পেছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেদের কারিগরি শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনার সভায় প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন প্রান্তিক পর্যায়ের যুবকদের চাকুরী নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া বক্তারা ২০৪১ সালকে সামনে রেখে দক্ষতা নির্ভর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমতাভিত্তিক জ্ঞাননির্ভর শোভন কর্ম পরিবেশ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে কর্মক্ষম জন গোষ্ঠীর কাম্য ব্যবহার নিশ্চিত করার উপর ও গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইউসেপ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ মানসম্পদ গড়ার মাধ্যমে শোভন কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
স্মার্ট জব ফেয়ার অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ছিল জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিশেষ আকর্ষণে ছিল রেনেসাঁ ব্যান্ডের নকিব খানের কালজয়ী সব গানের আয়োজন, এতে আনন্দ মুখর হয়ে ওঠে ইউসেপ প্রাঙ্গণ। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org