দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিমান উড়বে আকাশ দিয়ে সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু এবার সেই বিমান উড়ালসেতুর নিচে আটকে গিয়ে রাস্তায় ভয়াবহ যানজট তৈরি করলো যে দৃশ্য কল্পনা করাও কঠিন!
এবার ঠিক তেমনই একটি দৃশ্য দেখা গেলো ভারতের বিহারে। গত ২৯ ডিসেম্বর রাজ্যের মতিহারিতে একটি উড়ালসেতুর নিচে আটকা পড়ে একটি বিমান। আর ওই বিমানের কারণে দীর্ঘ সময় রাস্তাটিতে বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল। এতে শহরটিতে বড় ধরনের ট্র্যাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয়েছিলো। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিত্যক্ত একটি বিমানের মূল কাঠামোটিকে একটি ট্রেইলার ট্রাকে করে মুম্বাই হতে আসামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, পথেমধ্যে ওইদিন মতিহারির পিপরাকোঠিতে ঘটনাটি ঘটেছে। এতে একটি অদ্ভুত দৃশ্যের সূচনা হয় এবং ভারতের ২৭ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে বড় ধরনের ট্র্যাফিক জ্যাম দেখা দেয়। জাতীয় মহাসড়ক ধরে গন্তব্যের দিকে এগোনোর সময় পিপরাকোঠিতে ট্রাকে থাকা বিমানটির কাঠামো ফ্লাইওভারের নিচে আটকে গিয়েছিলো। তারপর সেভাবেই অনেকক্ষণ ধরে অনিশ্চিতভাবে পড়ে থাকে। সেখানে বহু লোকও জমে যায়, অনেকেই ছবি তুলতে থাকে এবং ভিডিও করে। এরপর নেট মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানটিকে এড়িয়ে কীভাবে যাওয়া যায় তার চেষ্টাও করতে থাকেন পথচারী এবং গাড়িচালকরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেও ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেবারও ট্রেইলার ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার সময় অন্ধ্রের বাপাতলা জেলার একটি আন্ডারপাসের নিচে আটকা পড়ে আরেকটি বিমান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org