দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে অনেক ধর্মের-অনেক মতের মানুষের জন্ম হয়েছে। কিন্তু কেও সৃষ্টিকর্তা ও তাঁর সৃষ্টিকে অস্বীকার করে না। এবার স্টিফেন হকিং নামে এক বিজ্ঞানী পরকালকে ‘রূপকথার গল্প’ বলে অভিহিত করলেন!
সরাসরি মৃত্যু-পরবর্তী জীবনকে অস্বীকার করলেন বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। যুগ যুগ ধরে মানুষ মৃত্যু-পরবর্তী জীবনকে বিশ্বাস করে আসছে। সে অনুযায়ী মানুষ ধর্মীয় অনুশাসনও অনুসরণ করে আসছেন যুগ যুগ ধরে। এক ধর্মে এক এক ভাবে ব্যাখ্যা থাকলেও মূল বিষয়টি সব ধর্মেই পরিষ্কার আর তা হচ্ছে মৃত্যুর পর আরেকটি জীবন অর্থাৎ পরকাল আসবে।
তবে বিতর্কিত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং পরকালকে রীতিমতো রূপকথা বলেই মনে করেন। গত বৃহস্পতিবার হকিংয়ের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান হকিং। প্রামাণ্যচিত্রটির চিত্রনাট্য হকিংয়ের নিজের লেখা এবং এর ধারাবর্ণনাও তিনি নিজেই দিয়েছেন।
স্টিফেন হকিং বলেছেন, পরকাল বলে কিছু নেইথ এ ধারণা থেকেই নিজের পক্ষাঘাতগ্রস্ত শরীরের বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করে গেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, সারা জীবন অকালমৃত্যুর হুমকির মধ্যে তার জীবন কেটেছে। তাই সময় নষ্ট করাকে ঘৃণা করেন বলে জানান তিনি।
ওই অনুষ্ঠানে তিনি আরও অনেক কথায় বলেছেন। ‘হকিং’ প্রামাণ্যচিত্রে বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী জানিয়েছেন, মৃত্যুকে ভয় পান না তিনি। প্রামাণ্যচিত্রটির প্রদর্শনী শেষে উপস্থিত দর্শককে তিনি বলেন, অন্ধকারকে ভয় পায় এমন মানুষের বানানো রূপকথা হলো পরকাল। তার মতে, মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতো মনের একটি কর্মসূচি (প্রোগ্রাম), তাই তাত্ত্বিকভাবে কম্পিউটারে মস্তিষ্কের প্রতিলিপি তৈরি করা সম্ভব। আর এভাবে মৃত্যুর পরও একটি জীবনকে ধরে রাখা যায়। তবে এতো কথা বলার পরও তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন, এখন পর্যন্ত জন্ম-মৃত্যু মানুষের সামর্থ্যের বাইরে। ৭১ বছর বয়সী এ বিজ্ঞানী সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বেচ্ছামৃত্যুর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে হৈচৈ ফেলে দেন। তারপর থেকে তিনি মিডিয়াসহ সমাজের প্রায় সব শ্রেণীর মানুষের আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ান। আর তাই তিনি কখন কি বলেন সেদিকে সকলের দৃষ্টি। সূত্র: অনলাইন।