দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকাল বলেই নয়, যে কোনও ঋতুতেই পায়ের পাতায় ব্যথা মূলত স্নায়ুজনিত কারণেই হয়ে থাকে। তবে কারণ যাই হোক না কেনো, সমাধানের কয়েকটি পথও রয়েছে। সেগুলো আজ জেনে নিন।
কাজে-কর্মে দৌড়ঝাঁপ করেই কেটে যায় দিন। তার উপর অফিসে গেলে সারাক্ষণ বসে থাকলেও প্রভাব পড়ে পায়ের উপরে। দিনভর পরিশ্রম শেষে অনেকেই পায়ের যন্ত্রণায় রাতে কষ্ট পান। বিশেষ করে, শীতকালে পায়ে ব্যথার সমস্যা একটু বেশি হয়। কারণ হলো শীতকালে পেশিগুলো সঙ্কুচিত হয়ে থাকে। সে কারণে রক্ত চলাচলেও বাধা সৃষ্টি হয়। এতে করে ব্যথা-যন্ত্রণাও বাড়ে। তবে শীতকাল বলেই নয়, যে কোনও ঋতুতেই পায়ের পাতায় ব্যথা মূলত স্নায়ুজনিত কারণেই হয়ে থাকে। তবে কারণ যাই হোক না কেনো, সমাধানের কয়েকটি পথও রয়েছে। সেগুলো আজ জেনে নিন।
মালিশ
অলিভ অয়েল কিংবা ফুট ক্রিম বেশি করে হাতে নিতে হবে। পায়ের তলায় মাঝ বরাবর আঙুলের চাপে মাসাজ করা অবস্থায় গোড়ালি থেকে উপরের আঙুলের দিকে উঠান। পায়ের তলার নার্ভের উপর আলতোভাবে চাপ দিয়ে মাসাজ করুন। যতোক্ষণ আরাম লাগবে, ততোক্ষণ করতে থাকুন।
গরম পানিতে সেঁক
একটা গামলায় ঈষদুষ্ণ পানি নিন। একটু বেশি করেই লবণ মেশান সেই পানিতে। পাশে অন্য একটি ছোট গামলায় ফুটন্ত গরম পানি রাখুন। এরপর লবণ মেশানো পানিতে গামলায় দু’পায়ের পাতা ডুবিয়ে রাখুন। আস্তে আস্তে আঙুল ভিতরের দিকে মুড়ে, বাইরের দিকে খুলবেন। পানি যখন একটু ঠাণ্ডা হয়ে আসবে, তখন পাশে রাখা গরম পানি থেকে অল্প অল্প করে মেশাতে থাকুন। অন্তত আধা ঘণ্টা এটা করতে হবে।
বরফ
এভাবে ব্যথা হলে পা অনেক সময় খুব ফুলে যায়। এমন হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কিছুই নেই। একটি গামলায় বেশ কিছু পরিমাণ বরফ নিন। বরফের উপর হালকা করে পা রেখে কিছুক্ষণ বসে থাকুন। এতেও স্বস্তি পাবেন। তবে শীতকালে এই টোটকা মেনে চলতে গিয়ে ঠাণ্ডা লেগে যেতেই পারে। তাই খুব বেশি পরিমাণ বরফ না নেওয়ায় ভালো। একটা সুতির কাপড়ে বরফ বেঁধে পায়ে ধীরে ধীরে বোলাতে থাকুন। এতে করেও আপনি উপকার পেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org