দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০২৩ সাল ছিলো ইন্টারনেট দুনিয়ায় এক আলো ঝলকানো। পুরো বিশ্বে ইন্টারনেট যেনো আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেছে। আজ জেনে নিন ২০২৩ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যাপ সম্পর্কে।
সবচেয়ে পছন্দের অ্যাপ
জনপ্রিয়তা কিংবা সর্বাধিক ডাউনলোডের তালিকায় যদি হিসেব করা যায়, তাহলে অবশ্যই পৃথকভাবে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সকলের নজর কেড়েছে সেটি বলা যায়। যদি এই তিন প্ল্যাটফর্মকেই একত্রিত করা যায়, তাহলে তো মেটার ধারে কাছে কোনো প্ল্যাটফর্মই আসতে পারবে না।
জানা গেছে, গত বছরে ৭০ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে মেটা। এই রেকর্ড পরিমাণ ডাউনলোডের সংখ্যা প্ল্যাটফর্মটিকে নিয়ে গেছে সর্বমোট ৭৮২ মিলিয়ন বার ডাউনলোডে। অপরদিকে গুগলের মূল সংস্থা আলফাবেট এইএনসির ডাউনলোডও ৫২৭ মিলিয়নে পৌঁছে যায়।
ফ্লিপকার্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় মিশো
ই-কমার্স সেক্টরে ফ্লিপকার্টের সঙ্গে এক কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মিশো। এই সংস্থাটি ছোট শহরগুলোর চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৩ সালের শেষে ৩৫.৮ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে মিশো খুব সহজেই শস্য থেকে এগিয়ে যায়। যার ১১ মিলিয়নেরও বেশিই ছিলো সক্রিয় ব্যবহারকারী। সক্রিয় ব্যবহারকারীর পরিপ্রেক্ষিতে ই-কমার্স প্রযুক্তি সংস্থা অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের মধ্যে প্রতিযোগিতা অব্যাহত আছে। বছরের শেষে এসে ফ্লিপকার্টের ৮২.১ মিলিয়নের তুলনায় অ্যামাজনের ৭৬ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল বলে জানা যায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org