দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের গণিতভীতি বেশি, তাদের জন্যই এলো এবার সুসংবাদ। এখন থেকে ত্রিকোণমিতি কিংবা কঠিন বীজগণিতসহ যে কোনো সমীকরণ দেখেই তার সমাধান দেবে গুগল অ্যাপ।
সম্প্রতি টেক জায়ান্টটি ফটোম্যাথ নামে একটি নতুন শিক্ষণমূলক অ্যাপ্লিকেশনের ঘোষণা করে। যা ক্যামেরা দিয়ে তোলা যে কোনো ধরনের গাণিতিক সমস্যার পর্যায়ক্রমিক ধাপ অনুসরণে সমাধান প্রদান করে থাকে। যাতে ব্যবহারকারীরা জটিল থেকে জটিলতর গণিত খুব সহজেই বুঝতে পারেন।
মূলত এই ফটোম্যাথ অ্যাপটি প্রকৃতপক্ষে ২০১৪ সালে চালু করা হয়েছিলো। ২০২২ সালের মে মাসে গুগল এই অ্যাপটি অধিগ্রহণ করতে আগ্রহ দেখায় ও প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক অনুমোদনের কাজ সম্পন্ন করে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপটি অধিগ্রহণও করে। বর্তমানে ফটোম্যাথ অ্যাপ বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের জন্য আরও বেশি অ্যাক্সেসযোগ্যও হয়ে উঠেছে।
যেভাবে ফটোম্যাথ অ্যাপ ব্যবহার করবেন-
# প্রথমেই নিজেদের অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস হতে গুগল প্লে স্টোর কিংবা আইওএস ডিভাইসে অ্যাপ স্টোরে প্রবেশ করুন।
# তারপর ফটোম্যাথ লিখে অনুসন্ধান করুন ও অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
# এবার অ্যাপটি চালু করুন ও আপনি যে গণিত সমস্যার সমাধান করতে চান তার একটি ছবিও তুলুন। এই ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে পুরো সমীকরণটি ফ্রেমের মধ্যে পরিষ্কারভাবে ক্যাপচার হয়েছে কি-না।
# যদি ব্যবহৃত ডিভাইসে স্ক্যান ফিচার নাও থাকে, তাহলে সমীকরণটি ম্যানুয়ালি টাইপও করতে পারেন। সেজন্য অ্যাপে একটি ইন-বিল্ড ম্যাথস কী বোর্ডও রয়েছে।
# এই গাণিতিক সমস্যাটি স্ক্যান কিংবা টাইপ করার পর ফটোম্যাথ অ্যাপ সেটি প্রসেসিং করবে।
# তারপর পর্যায়ক্রমে ব্যাখ্যা প্রদান করে সমাধানও দিয়ে দেবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org