দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। নানা কারণে বিতর্কের মুখে পড়েছেন বারংবার। কখনও বিয়ে-বিচ্ছেদ কাণ্ডে আলোচনার সৃষ্টি করেছেন, আবার কখনও জেলে গিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেন এই নায়িকা। কারাবাসের জীবন নিয়ে এবার বই লিখছেন পরীমণি।
এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে, কেনো জেলে গিয়েছিলেন সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় তার কাছেও। তবুও জেলজীবনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল, সেটি নিয়ে বই লিখবেন। যেখানে তিনি কারাবাসের দিনগুলোর গল্পও তুলে ধরবেন।
পরীমণি বলেছেন, আমি কাওকে খুনও করিনি, জঙ্গি হামলাও করিনি, আমার বাসায় কোনো বোমাও ছিল না। আমি আসলে কী করেছি সেটিই জানি না। ভালো বিষয় হলো যে, এখান থেকে অনেক কিছুই শিক্ষা নিয়েছি। তাই জেলখানার অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখেছি। পরীমনি মনে করেন ‘স্ট্রেট ফরোয়ার্ড’ বলেই ব্যক্তিজীবনে তার লড়াইটা কঠিন ছিল সবসময়ই।
এ সম্পর্কে অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘একটু স্ট্রেট ফরোয়ার্ড বলে হয়তো আমার সঙ্গেই এমনটা হচ্ছে। তবে এখন আমি জানি মানুষ কী পছন্দ করে, আর কী পছন্দ করে না।
আসলে মানুষ চায় নিজের গলাবাজির নিচে সবার গলাবাজি থাকুক। সকলেই চায় আমি আস্তে কথা বলি, অন্যেরা যা চায় সেটিই করি। সমাজের চাপানো কিছু নিয়ম রয়েছে, সেগুলো মেনে চললেই তুমি লক্ষ্মী মেয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা সম্পর্কে পরীমণি বলেন, আমাকে নিয়ে যতো নেগেটিভ কথা হয়েছে, ঠিক ততোটুকু পজিটিভ কথা হয়েছে। আমি যখন জেল থেকে বের হই তখনই মানুষজন আমাকে অনেক সাপোর্টও করেছে, বিশেষ করে মেন্টালি। তাদের সঙ্গে তো আমার রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। আমার কাজের জন্যই তারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org