দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক বছরেই বক্স অফিসে হ্যাট্রিক করে বলিউডে সত্যিকারের বাদশা শাহরুখ খান। এবার সিএনএন-নিউজ১৮ ইন্ডিয়ান অব দ্য ইয়ারের মুকুট পরলো তারই মাথায়।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, ১০ জানুয়ারি নয়াদিল্লির তাজ প্যালেসে সন্ধ্যা ৬টায় অ্যাওয়ার্ড শো শুরু হয়। শাহরুখ খান, মণি রত্নম, জাভেদ আখতার ছাড়াও অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
‘ইন্ডিয়ান অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ডস’- নির্বাচিত হওয়ার পর শাহরুখ খান বলেন, সব সময় সবারই শান্ত থাকা উচিত। শান্ত থেকে কঠোর পরিশ্রমও করা উচিত।
দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি নিজের অতীতের কথাও বলেছেন। সেইসঙ্গে অনুপ্রেরণামূলক কথাও বলেছেন। তিনি বলেন যে, ‘আমি এমন একজন ব্যক্তি যে প্রত্যাশা ভরা চরিত্রে অভিনয় করতেও পছন্দ করি। আমি বিশ্বাস করি যে, ভালোর ফল সবসময়ই ভালো হয়।
আমি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি। কয়েক বছর পূর্বে আমার কিছু ছবি ফ্লপ হয়েছে। কেও কেও বললো আমার সময় শেষ। কিছু খারাপ ও বিরক্তিকর ঘটনাও ঘটেছে। সেগুলো আমাকে নীরব থাকতেও শিখিয়েছে। সম্মানের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এখনও।’
শাহরুখের ২০২৩ সালে শুরু হয়েছিল সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’ সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে কমপক্ষে ৩.২০ কোটি দর্শক ভিড় করেন।
সেই একই উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল শাহরুখের পরবর্তী সিনেমা ‘জওয়ান’ এ। প্রেক্ষাগৃহে ৩.৯৩ কোটি দর্শক এসেছিলেন অ্যাটলি পরিচালিত ‘জওয়ান’ সিনেমা দেখার জন্য।
আর ২০২৩ সাল শেষ হয়েছিল রাজকুমার হিরানির সিনেমা ‘ডানকি’ দিয়ে। এই সিনেমা দেখতেও ১ কোটিরও বেশি দর্শক ভিড় করেন প্রেক্ষাগৃহে। তিনি বলিউডে প্রথম অভিনেতা যার সিনেমা দেখতে এতো পরিমাণ দর্শক প্রেক্ষাগৃহে হাজির হন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org