দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই শীতে শরীরের বাড়তি খেয়াল রাখে গুড়। গুড় চা বেশ উপকারী। চায়ে চিনির বদলে গুড় দিয়ে খেলেই বেশি সুফল পাওয়া যায়। গুড় চা খেলে কী কী সুফল পাবেন?
এই শীতে সুস্থ থাকার অন্যতম রক্ষাকবচই হলো গুড়। এতো কিছু থাকতে গুড় কেনো ‘ওষুধের’ ভূমিকা পালন করবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকেই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শীতে চিনির বিকল্প হিসাবে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। পায়েস বা পিঠেপুলি, গুড় দিলে অন্য রকম স্বাদও হয়। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনির বদলে গুড় খান অনেকেই। তবে শুধু খাবারের স্বাদ আনা বা ওজন ধরে রাখাই কিন্তু গু়ড়ের একমাত্র কাজ নয়। গুড় সত্যিই শীতে বাড়তি খেয়াল রাখতে পারে শরীরের। গুড় চা বেশ উপকারী। চায়ে চিনির বদলে গুড় দিয়ে খেলে বেশি সুফল পাওয়া যাবে। গুড় চা খেলে কী কী সুফল পাবেন?
শুধুমাত্র শীতকাল বলেই নয়, বাঙালির হজমের গোলমাল সারা বছরে গেলেই থাকে। তবে শীতে যেহেতু উৎসব-অনুষ্ঠানই বেশি থাকে, তাই পেট সব সময় সুস্থও থাকে না। তবে পেট যাতে সুস্থ থাকে সেজন্য চুমুক দিতে পারেন গুড় চাতে। গুড় কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিও কমায়। খাবার খাওয়ার পর এক কাপ গুড় চা খেলে উপকার পাবেন।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
সাধারণ শীতকালে নানা অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। নিজেকে সুস্থ রাখতে ভরসা রাখতে পারেন এই গুড়ের উপর। কারণ হলো গুড়ে রয়েছে আয়রণ, জিঙ্কের মতো উপাদান। সুস্থ থাকতে এগুলো অত্যন্ত জরুরি। গুড় চায়ের সঙ্গে যদি খানিকটা আদা মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সংক্রমণ ও অ্যালার্জির সমস্যা দূরে থাকবে।
শ্বাসকষ্ট কমাতে হলে
শীতের এই সময় শ্বাসের কষ্ট হয় অনেকের। নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধানে গুড়ের ভূমিকা কিন্তু কম নয়। গুড় শ্বাসযন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। সর্দি-কাশি থেকেও রক্ষা করে এই গুড়। ঠাণ্ডা লাগলেই তখন ঘন ঘন চা খেতে ইচ্ছা করে। প্রতি কাপে যদি একটু করে গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলে সুস্থ থাকাও সহজ হবে আপনার জন্য। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org