দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিনের খাবারেও চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করতে শুরু করেন। তবে সকালে উঠেই দুধ, চিনি ছাড়া চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস কিছুতেই রপ্ত করতেও পারছেন না।
খাবারে চিনি যতো কম থাকবে, জীবনে ততোই মিষ্টি হবে। তাই শীত এলেও গুড়ের রসগোল্লা, সন্দেশ, মোয়ার মতো খাবারকে জীবনে প্রবেশের অধিকারও দেননি। প্রতিদিনের খাবারেও চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করতে শুরু করেন। এতোকিছু করলেও সকালে উঠে দুধ, চিনি ছাড়া চা-কফি খেতে গেলে মনটা কেবলই হু হু করে ওঠে। সাত-পাঁচ ভেবে বেশ কয়েকবার কৃত্রিম চিনিও খেয়েছেন। তবে বিপদ তো সেখানেও রয়েছে। তাহলে চা-কফির সঙ্গে মেশাবেন কী করে? পুষ্টিবিদরা বলেছেন, স্বাদের সঙ্গে একটু আপসও করতে পারেন, তাহলে চা-কফির মতো গরম পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যায় কয়েকটি উপাদানও।
মধু
চিকিৎসকরা মনে করেন, চিনির বদলে খাঁটি মধু মেশাতে পারেন রান্নায়। স্বাদেও মন ভোলাবে, চিনির চেয়ে উপকারও অনেক বেশি। চিনির বিকল্প হিসাবে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ন্যাচারাল সুইটনার হলো এই মধু। ১ টেবল চামচ মধুতে ক্যালোরির পরিমাণ হলো ৬৪।
মেপ্ল সিরাপ
রান্নায় মেপ্ল সিরাপ দিয়ে অনেক বড় বড় রেস্তোরাঁতেও রান্না করা হয়। এটি খাবারকে যেমন মিষ্টি করে, তেমনই এটি শরীরের ক্ষতি করে না। এতে ক্যালোরিও অনেক কম।
নারকেল থেকে তৈরি করা চিনি
স্বাস্থ্যকর এবং একেবারেই ডায়াবেটিক নয় বলে এই উপাদানের চাহিদাও তুঙ্গে। নারকেল থেকে বানানো এই চিনিও ব্যবহার করতে পারেন রান্নাতে। কোকোনাট সুগারে ক্যালোরি অনেক কমই থাকে। ১ টেবল চামচ কোকোনাট সুগারে ক্যালোরির পরিমাণও থাকে ৪৫। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ১২, ২০২৪ 10:24 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাইলে এই ভেষজগুলো প্রতিদিনের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। অনলাইনে আয়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আর্থ্রাইটিস, অর্থাৎ বাত যে শিশুদেরও হয়, সে কথা অনেকেই হয়তো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো 'প্রিয়তমা'…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে বর্ষবরণের উদ্যাপনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক প্রতিযোগিতা দেখে থাকি। তবে আজ এমন এক বিচিত্র…