দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি দীর্ঘদিন পর প্রাক্তন প্রেমিক সৃজিতের সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে অনেকের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্বস্তিকা মুখার্জি। এই তালিকার অন্যতম নাম হলো সৃজিত মুখার্জি। বহু বছর পূর্বে এই জুটির সম্পর্ক ভেঙেছে। সৃজিত ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের মডেল-অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশীদ মিথিলার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। দীর্ঘদিন পর প্রাক্তন সৃজিতের সঙ্গে কাজ করতে চলেছেন স্বস্তিকা।
দেব প্রযোজিত এই ‘টেক্কা’ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সৃজিত। এতে অভিনয় করতে যাচ্ছে স্বস্তিকা মুখার্জি। বিরতি ভেঙে প্রাক্তনের নির্দেশনায় কাজ করতে গিয়ে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন এই অভিনেত্রী। বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন স্বস্তিকা।
স্বস্তিকা মুখার্জি বলেছেন, একজন দক্ষ পরিচালক ও অপরজন দেব টলিউডের সুপারস্টার। আমি নিশ্চিত দুর্দান্ত কিছু একটা হবে এবার। দেবের সঙ্গে ফটোশুটও করেছি। তবে ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার দেবের সঙ্গে কাজ করছি। ভালোলাগা, উত্তেজনা- সবটিই রয়েছে।
প্রাক্তন সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় অভিনয় সম্পর্কে এক জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, কোনোভাবেই আমি দেখি না। আমাদের বন্ধু-বান্ধবরা আলোচনা করি- ‘বিয়ের পাঁচ বছর পরই স্বামী-স্ত্রী ভাই-বোন হয়ে যায়’। সৃজিত আমার দশ বছর আগের প্রাক্তন। তাহলে এতোদিনে আমরা কী হতে পারি? স্বামী-স্ত্রী যেখানে ভাইবোন হয়ে যায়, সেখানে ১০ বছর আগের সম্পর্ককে প্রাক্তন তো বলায় যায় না! আমার সঙ্গে তার খুব সখ্য। বিভিন্ন ইভেন্টে যাই, কথাবার্তাও হয়। হতে পারে ২০২৪ সালে সৃজিতের সঙ্গে আরকেটা সিনেমা করলাম- এই যা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org