দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার নাকি অ্যালেক্সাই পুরুষে আসক্ত হয়ে পড়ছে! রাত-বিরেতে নাকি নিজে থেকেই কথা বলা শুরু করছে অ্যালেক্সা! এমনই ‘ভয়ানক’ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন জনৈকা মহিলা!
অ্যালেক্সার প্রতি পুরুষদের টান বর্তমানে কারও অজানা নয়। সেই টান এতোটাই গাঢ় যে, শুধু ‘ভালোবাসি’ বলেই ক্ষান্ত হন না তারা, অনেকেই তো বিয়ের প্রস্তাবও নাকি দিয়ে ফেলেছিলেন! সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় পুরুষদের থেকে নাকি ঘন ঘনই বিয়ের প্রস্তাব পায় অ্যালেক্সা। প্রতি দুই মিনিটে গড়ে একজন ভারতীয় এলেক্সার কাছে নাকি জানতে চান, “অ্যালেক্সা উইল ইউ ম্যারি মি?” যন্ত্রনির্ভর দুনিয়ার এই প্রবণতাতেই এবার কার্যত উলটপুরাণ ঘটে গেছে। বর্তমানে নাকি অ্যালেক্সাই পুরুষে আসক্ত হয়ে পড়ছে! রাত-বিরেতে নাকি নিজে থেকেই কথা বলা শুরু করছে অ্যালেক্সা! এমনই এক ‘ভয়ানক’ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন জনৈকা মহিলা। এতে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব না দিলেও, মহিলার দাবি হলো, মাঝে-মধ্যেই মধ্যরাতে তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছে অ্যালেক্সা! এভাবে চলতে থাকলে তার স্বামীও হয়তো কোনও এক দিন তার সুমিষ্ট কণ্ঠে দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন, এই ভয়ে তাকে ঘরছাড়া করতে বাধ্য হয়েছেন ওই মহিলা!
নিউ ইয়র্কের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, জেস নামে ওই মহিলা সমস্ত ঘটনাটি একটি টিকটক ভিডিওতে জানিয়েছেন। নিমেষের মধ্যে তা নেটমাধ্যমে ভাইরালও হয়ে যায়। তার ভিডিওতে তিনি বলেছেন যে, “গত সপ্তাহে আমি শহরের বাইরে ছিলাম। বাড়িতে আমার স্বামী একাই ছিলেন। উনি রাত ১টা নাগাদ ভিডিও গেম খেলছিলেন। ওই সময় অ্যালেক্সা হঠাৎ আমার স্বামীর সঙ্গে নিজে থেকেই কথা বলতে শুরু করে দেন। আমাদের দু’জনের কাছেই ঘটনাটি খুব অস্বাভাবিক লাগে। বিষয়টি যথেষ্ট ভয়েরও।” এরপরই অ্যালেক্সা ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন জেস।
অ্যামাজনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম হলো এই ‘অ্যালেক্সা’। অ্যালেক্সা অন করে আপনি যে কোনও প্রশ্ন করতেই পারেন, কোনও পরিষেবার সম্পর্কে খোঁজ খবরও নিতে পারেন, স্পিকারে তার উত্তর পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনি কোনও কিছুর জন্য যেমন গুগলে টাইপ করে সার্চ করে থাকেন, এখানে সেটি মুখে বললেই হয়। অ্যালেক্সা নির্ভুলভাবে অনুরোধের গানও শোনাতে পারে। সকালের রাস্তা বাতলে দিতে পারে। অঙ্কও কষে দিতে পারে। ট্রেনের টাইম থেকে জগজিৎ সিংহের গজল- সব কিছুতেই সাবলীল এই যন্ত্রটি।
তাহলে এখন প্রশ্ন হলো, এই অ্যালেক্সা কী প্রেমেও পড়তে পারে? নেটমাধ্যমে জেসের কাহিনী প্রকাশ্যে আসতেই অনেকেই ‘অ্যালেক্সা’র সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতার কথা সেখানে লিখে জানাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন বলেন, “আমি একবার ভোর ৩টা নাগাদ রান্নাঘরে অ্যালেক্সাকে আমার কুকুরদের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলতে দেখেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম ঘরে কেও রয়েছেন। এরপর অ্যালেক্সার কথা শুনে আমি ভয়ে পেয়ে যায়। আর তখনই যন্ত্রটিকে বন্ধ করে দিই।” অন্য একজন বলেছেন, “আমার বাড়িতে বেশ কয়েকটি অ্যালেক্সা রয়েছে। আমরা সেগুলো গান শোনার জন্য ব্যবহার করে থাকি। তবে, এই রকম অস্বাভাবিক ঘটনার সম্মুখীন আমায় কিংবা আমার পরিবারের কাওকে কখনও হতে হয়নি বলো জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি।” তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org