দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে বিপাকহার ভালো হওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিপাকহার ভালো হবে কি না তা আবার নির্ভর করে মূলত অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর।
অনেকেই সকালে উঠে নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন। আবার, মেপে-মেপে খাবারও খান। এরপরেও পুষ্টিবিদের মুখে ‘নো প্রোগ্রেস’ কথাটা শুনে মনখারাপও হয়ে যায়। এতো খাটনির ফল তাহলে কী শূন্য? পুষ্টিবিদরা বলেছেন, শরীরে মেদ জমতে যেমনদ কিছুটা সময় লাগে, ঝরাতে লাগে তার চেয়েও দ্বিগুণ। শুধু শরীরচর্চা করা বা খাবারে কাটছাঁট করলেই ফল পাওয়া যাবে না। শারীরবৃত্তীয় কাজগুলোও ঠিকঠাক হওয়াটা প্রয়োজন। মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে বিপাকহার ভালো হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। বিপাকহার ভালো হবে কি-না তাও নির্ভর করে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর। এই ক্ষেত্রে আদা ও জোয়ানের চা বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
গ্যাস-পেটফাঁপার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ভিষণ ভালো কাজ করে। এই আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যা প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। গ্যাস বা হজম সংক্রান্ত পেটের গোলমাল থাকলে বিপাকহারও খারাপ হবে। তখন ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে পড়বে। আদা এই ধরনের সমস্যা নিরাময়ও করতে পারে। পেটের গোলমাল ঠেকাতে আদা যে কাজ করে, সেই গতি আরও একটু বাড়িয়ে দেয় এই জোয়ান।
আদা-জোয়ানের চা কীভাবে তৈরি করবেন?
ঘুম থেকে উঠেই সকালে এই চা খেতে গেলে আগের দিন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আধা কাপ পানিতে কয়েক কুচি আদা ও এক চা চামচ জোয়ান ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এটি ছেঁকে নিয়ে লেবুর রস ও মধু দিতে পারেন। অনেকেই এই পানীয় সামান্য গরম করে খেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ২৮, ২০২৪ 2:49 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক…