দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড অভিনেতা ববি দেওল দীর্ঘদিন ধরেই পর্দার বাইরে ছিলেন। নব্বইয়ের জনপ্রিয় এই নায়কের ক্যারিয়ারে রীতিমত ভাটা পড়েছিল বলা যায়। তবে সর্বশেষ মুক্তি প্রাপ্ত তার অভিনীত ‘অ্যানিমেল’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে মাত্র ১৫ মিনিট স্ক্রিনে থেকে দর্শকদের নজর কাড়তে সমর্থ হয়েছেন ববি দেওল।
ববি দেওলের এই কামব্যাক শুধু বলিউড নয়, যেনো ঝড় তুলেছে পুরো বিশ্বে। এবার তার দেখা পাওয়া যেতে পারে তার অভিনীত আসন্ন দক্ষিণী ছবি ‘কাঙ্গুভা’তে।
২৭ জানুয়ারি ৫৫ বছরে পা রাখলেন ববি। এই বিশেষ দিনেই দর্শকদের সামনে নিয়ে এলেন তার আসন্ন ছবি ‘কাঙ্গুভা’তে তার খলনায়ক চেহারা।
নিজেই সেই পোস্টার শেয়ার করেন এই অভিনেতা। ছবিতে ববিকে দেখা যায়, লম্বা চুলে শিং পরিহিত অবস্থায়। তার একটি চোখ ছিল ভয়ানক ও বুকে একটি পাঁজর লাগানো ঢাল পরতেও দেখা গেছে। নারী যোদ্ধাদের একটি দল তাকে একেবারে ঘিরে রেখেছে।
এই ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘নির্মম, ক্ষমতাশালী ও অবিস্মরণীয়’। সেইসঙ্গে পোস্টার জুড়ে কেবলমাত্র হিংস্রতার ছাপ। যা দেখে বোঝা যাচ্ছে আসন্ন এই ছবিতে ববি যেনো তার ‘অ্যানিমেল’ এর আবরার চরিত্রকেও ছাপিয়ে যাচ্ছে।
‘কাঙ্গুভা’ সিনেমায় নায়কের চরিত্রে দেখা যাবে দক্ষিণী অভিনেতা সুরিয়াকে। তার বিপরীতে থাকবেন দিশা পাটানি। এদিন সুরিয়া নিজেও সহ-অভিনেতা ববি দেওলের নতুন লুকের পোস্টারটি শেয়ার করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। এতে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন ববি দেওল ভাই। উষ্ণ বন্ধুত্বের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের কাঙ্গুভায় শক্তিশালী উধিরানের চরিত্রে আপনাকে রূপান্তরিত হতে দেখাটা দারুণ বিষয় ছিল।’
সম্প্রতি সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়েছে বলে জানান সুরিয়া। তামিল, কন্নড়, তেলেগু, মালায়লাম এবং হিন্দি ভাষায় এ বছরই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তথ্য-পিঙ্কভিলা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org