দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর উদ্যোগে “তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের তথ্য- উপাত্তের সুরক্ষা ও এর গোপনীয়তা নিশ্চিতকরণ” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ডেটা প্রাইভেসি উইক ২০২৪’ এর অংশ হিসেবে বেসিস এবং লিগ্যালাইজড এডুকেশন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান, এনডিসি; বেসিসের ডিজিটাল সিকিউরিটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারমান লুতফর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। এছাড়াও অনলাইনে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন অ্যাপেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোশ লি কক থং। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও লিগ্যালাইজড এডুকেশন বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার তাসনুভা শেলী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসিস এর সচিব হাশিম আহম্মদ।
সেমিনারে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো: কামরুজ্জামান, এনডিসি বলেন, “ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা এখন একটি বৈশ্বিক চিন্তার বিষয়। প্রথমবারের মত আমরা তথ্য সুরক্ষা সপ্তাহ পালন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। প্রযুক্তির উৎকর্ষের পাশাপাশি মানুষের ডিজিটাল লিটারেসিরও খুব প্রয়োজন। কোভিড আমাদের অনেকাংশে স্মার্ট করেছে, বিশেষ করে হোম অফিস এবং অনলাইনে মিটিংয়ের ক্ষেত্রে। তবে, আমরা অনলাইনে যত আমাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছি, ততই আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা কমছে। তাই আমাদের নিজেদের আরও সচেতন হতে হবে।”
বেসিসের ডিজিটাল সিকিউরিটি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারমান লুতফর রহমান বলেন, “আমাদের দেশের মানুষ নিজের তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে সচেতন না। মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক ব্যাক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার ব্যাপারে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আমাদের দেশের নীতিমালা বৈশ্বিক নীতিমালার সাথে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
আমরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেমিনার ও কর্মশালার পাশাপাশি তথ্য সুরক্ষার উপর সচেতনতা বাড়াতে প্রতি মাসে সোশ্যাল মিডিয়াতে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছি।”
উল্লেখ্য যে, ২১-২৭ জানুয়ারি ২০২৪ সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজেনে বেসিস ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সি, এসএসএল কমার্জ এবং জাস্টিসিয়া লিগ্যাল মাইন্ডস অংশীদার। সেমিনারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org