দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্মার্টফোন এবং প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষের দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের বাজারে গ্যালাক্সি এস২৩ -এর সর্বশেষ ফ্যান এডিশন (এফই) নিয়ে এলো স্যামসাং। সবচেয়ে ‘এপিক’ এই ফ্যান এডিশন ডিভাইস গ্যালাক্সি এস২৩ এফই -তে সর্বাধুনিক পারফরমেন্স সমৃদ্ধ এবং ডিভাইসটিতে রয়েছে নজরকাড়া ডিজাইন, দুর্দান্ত ক্যামেরা আর অডিও। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে ‘এপিক’ করতেই এ সকল ফিচার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ডিভাইসটিতে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ এফই’র নতুন ফ্লোটিং ক্যামেরা ও প্রিমিয়াম ফিনিশে ব্যবহার করা হয়েছে আইকনিক ‘এস’ ডিজাইন, যা আইপি৬৮ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিসটেন্সের মাধ্যমে সুরক্ষিত। ডিভাইসটিতে অত্যন্ত কার্যকর, শক্তিশালী ও টেকসইভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ও প্যাকেজিং ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, মনোমুগ্ধকর রঙে নিয়ে আসা হয়েছে গ্যালাক্সি এস২৩ এফই, যেন ব্যবহারকারী মিন্ট বা গ্রাফাইট থেকে নিজেদের স্টাইল অনুযায়ী ডিভাইস বেছে নেয়ার সুযোগ পান।
গ্যালাক্সি এস২৩ এফই ডিভাইসের প্রো-গ্রেড ক্যামেরার মাধ্যমে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই প্রাণবন্ত হয়ে ধরা দিবে। এর ৫০ মেগাপিক্সেল হাই-রেজ্যুলুশন লেন্স ও ৩X অপটিক্যাল জুম ব্যবহারকারীদের প্রতিটি ছবিই নিখুঁত এবং ঝকঝকে করে তুলবে। ডিভাইসটিতে আরও রয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড, ৮ মেগাপিক্সেল টেলি ও ১০ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এমনকি সূর্যাস্তের পরও নাইটোগ্রাফির মাধ্যমে নিখুঁত ও প্রাণবন্ত সেলফি ও পোর্ট্রেইট তোলার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী। অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজার (ওআইএস) সহ রেয়ার ক্যামেরায় সর্বাধুনিক ডিজিটাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ভিডিআইএস) থাকার কারণে এখন চলাচলের সময় নেয়া ছবিও হবে ঝকঝকে।
একইসঙ্গে, গ্যালাক্সি এস২৩ এফই-তে রয়েছে একটি এডিটিং স্টুডিও। এর মাধ্যমে এখন ব্যবহারকারীরা শাটার স্পিড, আইএসও এবং অ্যাপারচার সহ আরও অনেক কিছু নিজেদের পছন্দ মতো ঠিক করে নেয়ার সুযোগ পাবেন। ব্যবহারকারীদের সৃজনশীলতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে ডিভাইসটিতে এআই-নির্ভর এডিটিং টুল ব্যবহার করা হয়েছে।
স্ট্রিমিং এবং গেমিংয়ের ক্ষেত্রে বলা যায়, গ্যালাক্সি এস২৩ এফই’র শক্তিশালী প্রসেসর প্রতিটি কাজকে নিখুঁতভাবে কার্যকর রাখতে একটি ভেপার চেম্বারের সাহায্যে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং পারফরমেন্সে ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ৪,৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি সচেতনভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখতে সক্ষম। ডিভাইসটির ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৪ ইঞ্চি ডায়নামিক অ্যামোলেড ২X ডিসপ্লে ব্যবহারকারীর কনটেন্ট দেখার অভিজ্ঞতাকে করবে আরও সমৃদ্ধ। এর ভিশন বুস্টার ফিচার উজ্জ্বল আলোর অবস্থাগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী স্ক্রিনে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে, যা দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। ফাইভজি উপযোগী এই ডিভাইসটিতে আরও রয়েছে এক্সিনোজ ২২০০, ৮ জিবি র্যাম, ১২৮ জিবি রম ও গরিলা গ্লাস ৫ -এর সুরক্ষা।
এই বিষয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “মানুষের লাইফস্টাইলের সাথে মানিয়ে যায় এমন সর্বাধুনিক এবং ‘এপিক’ ফিচার ও অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ডিভাইস নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আমরা সবসময়ই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের গ্যালাক্সি এস২৩ এফই -তে এমন সব দুর্দান্ত ফিচার নিয়ে আসা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন এবং ডিভাইসটি তাদের সৃজনশীলতাও বহুগুণে বৃদ্ধি করবে। আমাদের নিয়ে আসা নতুন ডিভাইস গ্যালাক্সি এস২৩ এফই এবং এর আইকনিক ফিচারগুলো দেশের ক্রেতারা পছন্দ করবেন বলে আশাবাদী আমরা।”
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৩ এফই’র বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১,০৯,৯৯৯ টাকা। যারা প্রথমবারের মতো গ্যালাক্সির ফ্ল্যাগশিপ ফোনের অভিজ্ঞতা নিতে চাইছেন, তাদের জন্য গ্যালাক্সি এস২৩ এফই ডিভাইসটি একদম যথার্থই হবে।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org