দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘অপারেশন চিতা’ উপন্যাস হতে ‘চিতা’ নামে সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। সেই সিনেমায় এবার দেখা যাবে অনন্ত জলিল ও বর্ষাকে।
যুবকদের কাছে প্রয়াত লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের অমর সৃষ্টি ‘মাসুদ রানা’। এই লেখকের ‘অপারেশন চিতা’ নামে উপন্যাস থেকে এবার নির্মিত হচ্ছে ‘চিতা’ নামে একটি সিনেমা। জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী সিনেমায় জুটিবদ্ধ হতে যাচ্ছেন তারকা দম্পতি অনন্ত জলিল এবং বর্ষা!
সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক মহরতের মাধ্যমে সিনেমাটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেখানে অভিনয়শিল্পী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় অনন্ত-বর্ষাকে। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত সিনেমা করতে চলেছেন অনন্ত জলিল এবং বর্ষা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, জাজের প্রযোজনায় ‘চিতা’ সিনেমাটি পরিচালনা করবেন জাজ কোলকাতার নির্মাতা রাজীব বিশ্বাস। এই সিনেমার শুটিং শুরু হবে আগামী মে মাসের দিকে। শুটিংয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামকে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর-৯ : ডু অর ডাই’ সিনেমা।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মুক্তি পাওয়া ওই ছবিতে মাসুদ রানা চরিত্রে দেখা গিয়েছিলো এবিএম সুমনকে। তাছাড়াও ওই ছবিতে হলিউড এবং বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা অভিনয় করেন। তবে ৮৩ কোটি বাজেটে নির্মিত এই সিনেমাটি অবশ্য ব্যবসায়িকভাবে ফ্লপ হয়েছিলো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org