দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকরা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক যুক্ত পেস্ট ব্যবহারের কারণে শুধু যে মাড়ির ক্ষতেই হয়, তা কিন্তু নয়। মুখের ঘা, এমনকি ক্যান্সারের মতো দূরারোগ্য অসুখের কারণও হতে পারে এই ধরনের মাজন।
কোন মাজনে লবণ রয়েছে আর কোন মাজনে ক্ষার, তা বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই। এদিকে মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে বলে কোনও রকম রাসায়নিকও মুখে দেওয়া যাচ্ছে না। পূর্বে ভালো মানের গুঁড়ো মাজন পাওয়া যেতো। তবে এখন সেগুলোর মধ্যেও নানা রকম রাসায়নিক গিয়ে মিশে গিয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্ত পেস্ট ব্যবহারের কারণে শুধু যে মাড়ির ক্ষতি হয়, তা কিন্তু নয়। মুখের ঘা, এমনকি ক্যান্সারের মতো অসুখের কারণও হতে পারে এই সব মাজন। তাই সচেতন মানুষরা ভেষজ মাজনের উপরে ভরসা রাখেন। তবে ঘরোয়া কিছু উপাদান দিয়ে তবে বাড়িতেই মাজন তৈরি করে ফেলা যাবে। কীভাবে জানবেন রইলো সেই পদ্ধতি।
বাড়িতে দাঁতের মাজন তৈরি করবেন যেভাবে
উপকরণ
বেকিং সোডা : ৪ টেবিল চামচ
নারকেল তেল : ২ টেবিল চামচ
পেপারমিন্ট অয়েল : ১০ হতে ১৫ ফোঁটা
লবণ : এক চিমটে
বানানো পদ্ধতি
# প্রথমে ছোট একটি বাটিতে বেকিং সোডা ও লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন।
# এখন মিশিয়ে নিন নারকেল তেল।
# এগুলো ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা।
# তবে পেস্টের মতো ঘনত্ব না হলে ইচ্ছে করলে আরও একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে নিতে পারেন।
# এখন এটি কাচের শিশিতে ভরে রেখে ফ্রিজে রেখে দিন। দিনে অন্তত দুইবার এই মিশ্রণ দিয়ে দাঁত মাজার অভ্যাস করুন- তাতে দাঁত ভালো থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org